লোকসভা ভোটে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা এখনও হয়নি। কিন্তু তার আগেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে একই কেন্দ্রে তিন জন প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখনকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলিতে।বুধবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের গ্রামীণ এলাকা পোলবা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুগন্ধা, কোদালিয়া পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর ও হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে যথাক্রমে প্রাক্তন বিজেপির সভাপতি সুবীর নাগ, গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও চিকিৎসক ইন্দ্রনীল চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে লিখে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার দেওয়াল লেখা হয়।বিকেলে দেওয়াল লিখনের ছবি ভাইরাল হতেই অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের লোকজন বিজেপির মনোবল ভাঙতে এই চক্রান্ত করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি নিজেদের দোষ ঢাকতে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।চলতি মাসের গোড়ায় হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পরিযায়ী অ্যাখা দিয়ে প্রার্থী করা চলবে না বলে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র পোস্টারে ছয়লাপ হয়েছিল। ওই ঘটনার পর ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে চুঁচুড়ায় ছুটে আসেন লকেট। সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন হুগলিতে তিনিই বিজেপির প্রার্থী হবেন। তার পর বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে সিঙ্গুর, চুঁচুড়া, পোলবায় ছুটে বেড়িয়েছেন লকেট।কিন্তু ফের নতুন করে লকেটের নাম বাদ দিয়ে তাঁরই দলেরই তিন জনের নামে দেওয়াল লিখনের ঘটনায় লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপির কোন্দল বেআব্রু হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। গত বিধানসভা ভোটে চুঁচুড়া কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটের দাবিদার ছিলেন সুবীর নাগ। কিন্তু চুঁচুড়ায় বিজেপি লকেটকে প্রার্থী করতেই অভিমানী সুবীর তারকেশ্বর কেন্দ্রের প্রার্থীর হয়ে ভোট করতে চলে যান।তবে এ বার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব সুবীর নাগের হাতে দেওয়ার পর লকেটের সঙ্গে সমস্ত কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে সুবীরকে। অন্যদিকে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির গৌতম চট্টোপাধ্যায় জেলার প্রাক্তন সাংগঠনিক সভাপতি। তিনি এখন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে। ২০১৯ সালে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী পদে নাম উঠেছিল চিকিৎসক ইন্দ্রনীল চৌধুরীর।এ দিন সুবীর নাগ বলেন, ‘দল সাংগঠনিক ভাবে মজবুত হয়েছে। আগের বারের থেকে বেশি ভোটে জিতব। তাই তৃণমূল মিথ্যে ষড়যন্ত্র করছে।’ চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘বিজেপির সবাই ভাবছে, প্রার্থী হতে পারলেই কোটি টাকা পাওয়া যাবে। তাই এই লড়াই।’