'ছিঁচকে একটা মস্তানকে ধরতে ৫৫ দিন লেগে গেল!......'
২৪ ঘন্টা | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অয়ন ঘোষাল: রাজ্য সরকার দাবি করছিল পুলিসের হাত পা বাঁধা তাই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। গতকালই সেই বাধা সরিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল মাথা শাহাজাহান। আজ ভোরেই মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এমনটাই খবর সূত্রের। এনিয়ে এবার রাজ্য পুলিসকে নিশানা করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আজ ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের সমেয় তাঁকে শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এনিয়ে তিনি বলেন, একটা ছিঁচকে মস্তানকে ধরতে ৫৫ দিন লেগে গেল! তাহলে রাঘব বোয়ালদের তো পুলিস কোনও দিনই ধরবে না। নেতারা বলছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে শাহজাহান ধরা পড়বে। পার্টি নেতারা ঠিক করে দিচ্ছেন কাকে কখন ধরতে হবে। আসলে ওখানকার মানুষ। নিরন্তর লড়াই করছেন। সাধারণ মানুষের দাবি মেনে অবশেষে ময়দানে নেমেছে পুলিস।শুভেন্দু অধিকারী গতকাল দাবি করেন, শেখ শাহাজাহান পুলিসের আশ্রয়ে রেয়েছে। গত রাত বারোটার পর থেকে মমতার পুলিসের হেফাজতেই রয়েছে। বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়েছে। তার আগে এক প্রভাবশালী মধ্যস্থতাকারীর দৌলতে তার সঙ্গে পুলিসের মধ্যস্থতা হয়ে গিয়েছে। যাতে তাকে পুলিসি ও বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাজার হালে রাখা হয়। জেলে গেলে তাকে ফাইভ স্টার আতিথেয়তা দেওয়া হবে। তাকে মোবাইল ফোন দেওয়া হবে যাতে সে ওই ফোনের সাহায্যেই সংগঠন চালাতে পারে।বিরোধী দলনেতার ওই মন্তব্যের রেশ টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বলেই দিয়েছিলেন। খবর আগে থেকেই ছিল। এটা সবাই জানে। সর্বভারতীয় চাপের জন্য পুলিস গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। গোটা দেশের চ্যানেলগুলি এনিয়ে চর্চা করছিল। সবাই আনরা জানতাম শাহজাহান ওখানেই আছে। কোর্টের কাছে কানমলা খেতেই পুলিস তাকে ধরতে বাধ্য হল। ইডি ওখানকার জল জঙ্গলে গিয়ে ধরতে পারত না। পুলিসকেই ধরতে হত। পুলিসের হাতেই ছিল। পুলিসই ধরছে।আমরা গোড়া থেকেই বলছিলাম, পুলিস জানে ও কোথায়। এখন বাধ্য হয়ে তাকে ধরা হয়েছে। এটা আগে হলে বিষয়টা বাড়ত না। এবার ওখানকার লোকেরা ঠিক করবেন তাদের জমি বাড়ি সব টাকা লুঠ হয়েছে সেগুলো তারা কীভাবে ফেরত চাইবেন। আমাদের ৪ কর্মী খুন হয়েছে। আমরা শাহাজাহানের নামে এফআইআর করতে চেয়েছিলাম। পুলিস তখন নেয়নি। এবার নিতে হবে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। এটা প্রসেস শুরু হল। তৃণমূল জানে এবার পরপর লিস্ট আসবে। একদিন না একদিন তাদের সবাইকেই ধরতে হবে।