Governor Of West Bengal : 'গ্যাংস্টাররা দ্রুত আত্মসমর্পণ করুক', শাহজাহান গ্রেফতারের পরেই হুঁশিয়ারি বোসের
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সন্দেশখালি ইস্যুতে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই রীতিমতো বিস্ফোরক রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। গ্রেফতারির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল বলেন, 'বাংলার বেশকিছু জায়গায় গুন্ডা গ্যাং আছে, গ্যাংস্টারদের বলছি দ্রুত আত্মসমর্পণ করুক। নইলে আইন নিজের পথে চলে ব্যবস্থা নেবে। আমি সতর্ক করছি, এই গুন্ডারা আত্মসমর্পণ করুক।'সন্দেশখালিজুড়ে উল্লাসের ছবিদিন কয়েক আগেই সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে নিজেদের অভিযোগ জানিয়েছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন শাহজাহান গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই খুশির হাওয়া সন্দেশখালির গ্রাম গ্রামে। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। নিজেদের মধ্যে আনন্দে আবির খেলায় মেতে ওঠেন তাঁরা, চলে মিষ্টিমুখ। লাল, সবুজ আবির একে অপরকে রঙিন করে দেন তাঁরা। অনেক মহিলাকে শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিও দিতে দেখা যায়। সেই বিষয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'সন্দেশখালির মহিলারা উচ্ছ্বসিত। তাঁরা রাজভবনের পিস রুমে ফোন করেছেন।'সমালোচকদের জবাব বোসেরএদিকে দিন কয়েক আগে রাজ্যপালের সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে শাসকদলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এদিন সেই বিষয়ে উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'সন্দেশখালিতে আমার যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। আমার ওখানে যাওয়া নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ। সমালোচনা ভালো। তা সে আত্মসমালোচনাই হোক বা অন্যের থেকে আসা সমালোচনা। আমি দুটোকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখে থাকি। শাহজাহানের গ্রেফতারে দেরি হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় ফাঁক রয়েছে। পরবর্তী সময়ে সব খতিয়ে দেখব। নির্বাচিত সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে চাপ দেব না। আশা করি, তারা তাদের গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করবে।'প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে সকালেই নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। সেখানে তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভবানীভবনে। ইতিমধ্যেই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। তবে এদিন আদালতে শাহজাহানের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কার্যত চমকে দিয়েছে উপস্থিত জনতাকে। সাদা কুর্তা, পায়ে স্নিকার ও হাফ জ্যাকেট পরে গটগটিয়ে আদালতে হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে। শাহজাহানের এহেন শরীরী ভাষার তীব্র সমালোচনাও করেছেন বিরোধীরা।