• West Bengal Teachers Association : বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সরব কলেজের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা
    এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সরব হলেন বিভিন্ন কলেজের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ছবি টাঙিয়েই বেতন বাড়ানোর দাবি তুলল বেঙ্গল এলিজেবল কলেজ ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বেকুটা। এই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের ২০১৯ সালে ৬০ বছরের চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। তৈরি হয় ‘স্যাক্ট’।এই স্যাক্টদের দু’টি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে রয়েছেন সেই সব শিক্ষকরা, যাঁদের নেট, সেট, পিএইচডি রয়েছে। তাঁদের বলা হয় ‘স্যাক্ট ওয়ান’। বাকিরা ‘স্যাক্ট টু’। বেকুটা সংগঠনটি মূলত স্যাক্ট ওয়ান শিক্ষকদের। যদিও তাঁরা সামগ্রিক ভাবে সব চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকেরই ভাতা বৃদ্ধির দাবি করেছেন।বেকুটা’র দাবি, সারা রাজ্যে স্যাক্ট ওয়ানে প্রায় ৩০০০ শিক্ষক রয়েছেন। সম কাজে, সম বেতনের দাবি করছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০২০ থেকে তাঁরা মাসে ৩৫ হাজার টাকা বেতন পান। প্রতি বছর তিন শতাংশ করে বেতন বৃদ্ধি হয়। এখন তাঁদের বেতন ৩৯ হাজার টাকা। অবসরকালীন সময়ে এক লপ্তে ৫ লক্ষ টাকা গ্র্যাচুইটি পাওয়ার কথা তাঁদের।সংগঠনের দাবি, স্থায়ী শিক্ষকদের তুলনায় এই বেতন তিন ভাগের এক ভাগও নয়। সংগঠনের তরফে বারাসত কলেজের শিক্ষিকা বিজয়া মিশ্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমাদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬৫ করা, গ্র্যাচুইটি অন্তত ১০ লক্ষ টাকা করা এবং ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি আমরা।’ ২০১৯-এর আগে এই শিক্ষকরা অবশ্য আরও কম, ২০-২২ হাজার টাকা ভাতা পেতেন।সংগঠনের সম্পাদক নীলোৎপল জানা বলেন, ‘আমরা দাবি নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি। এমন অনেক কলেজ আছে যেখানে যদি ১০ জন স্থায়ী শিক্ষক থাকেন, তা হলে আমাদের মতো শিক্ষক আছেন ৮০ জন। ফলে ধর্মঘট হলে কলেজগুলি অচল হয়ে যাবে। সেই রাস্তায় আমরা হাঁটতে চাই না। পড়াশোনার ক্ষতি হোক, সেটা আমরা চাই না।’ পিএফ চালুর দাবিতেও সরব হয়েছে এই সংগঠন।
  • Link to this news (এই সময়)