Calcutta High Court News: '৪৩টি মামলা আছে, ১০ বছর ব্যস্ত থাকতে হবে', শাহজাহানের আইনজীবীর উদ্দেশে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
'এই ব্যক্তির জন্য আমার কোন সমবেদনা নেই', শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের। সন্দেশখালির ঘটনার ৫৫ দিন কেটে যাওয়ার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। তাঁকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।এদিকে এদিন হাইকোর্টে যান শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। মামলায় যুক্ত হওয়ার কথা জানান আদালতকে। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘আপনার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম।’ শেখ শাহজাহানের আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, ‘ আগাম জামিনের আবেদন দুই দিন আগে খারিজ হয়েছে। নিম্ন আদালতে এখনও আমার চারটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। গতকাল মামলার কথা আমরা জানতাম না।’এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘৪৩ টি মামলাও আছে। আগামী ১০ বছর আপনাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। এই মক্কেলের অনেক কাজ করতে ব্যস্ত থাকতে হবে। ৪-৫ জন জুনিয়র রাখতে হবে।’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘এই ব্যক্তির জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই।’এদিকে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সন্দেশখালি যাত্রার বিরোধিতা করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। বিচারপতি কৌশিক চন্দের গতকালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। এদিন সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, 'আপনাদের আরও অনেক কাজ রয়েছে। কে যাচ্ছে, কে যাচ্ছে না, আমরা ভাবছি না। মামলা দায়ের করুন। এখুনি শুনানি করতে হবে তেমন কোন তাড়াহুড়ো নেই।'Shahjahan Sheikh Arrested: ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানপ্রসঙ্গত, সন্দেশখালি নিয়ে দীর্ঘ সময় তপ্ত ছিল বঙ্গ রাজনীতি। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ED-র তল্লাশির সময় আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। এরই প্রেক্ষিতে সরগরম হয় সন্দেশখালি। এরপর সেখানে মহিলারা একের পর এক অভিযোগ তোলেন। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার থেকে শুরু করে অজিত মাইতি-স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে উঠেছিল একাধিক অভিযোগ। এই তিন জনকেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।কিন্তু, কেন শেখ শাহজাহান অধরা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এরই মধ্যে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছিল, যে কোনও এজেন্সি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। এর মধ্যে CBI-ED-ও ছিল। যদিও বৃহস্পতিবার তাঁর গ্রেফতারির খবর জানানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকেই। আপাতত তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দেশখালি মামলা কোন দিকে মোড় নেয়, এখন তাই দেখার।