Ramadan In India : আরব দেশগুলিতে ১২ মার্চ শুরু রমজান, ভারতে রোজা কবে থেকে?
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নবম মাসে পালিত হয় রমজান। ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য অত্যন্ত পবিত্র এই রমজান মাস। এই সময় এক মাসের জন্য রোজার উপবাস রাখেন মুসলিমরা। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালিত হয়। পালন করেন আল্লার ইবাদত। সকালে সেহরির পর শুরু হয় রোজা এবং সন্ধ্যায় ইফতারের সঙ্গে শেষ হয় উপবাস। রমজানের শেষ দিনে চাঁদ দেখার পর পালিত হয় ইদ-উল-ফিতর। তবে সবটাই নির্ভর করছে চাঁদ দেখার সময়ের উপর।চলতি বছর রমজানের আগে চাঁদ দেখার জন্য ১০ মার্চের প্রস্তুতি শুরু করেছিল ইসলামিক দেশগুলি। কিন্তু, জানা যাচ্ছে, ১০ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে না। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ নয় বরং রমজানের আগে চাঁদ দেখা যাবে ১১ মার্চ। অর্থাৎ পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে চলেছে ১২ মার্চ থেকে। ওইদিন থেকেই রোজার উপবাস রাখা শুরু করবেন আরব দেশের মুসলিমরা। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী, সকাল ৯টায় চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ হবে। তবে আরব বিশ্বের কোনও অংশ থেকেই খালি চোখে অথবা টেলিস্কোপ দিয়ে সেদিন চাঁদ দেখাল সম্ভব হবে না।ভারতে রমজান কবে?সৌদি আরবের মক্কা শহরে, মিশরের রাজধানী কায়রোতেও ১১ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে। এবং পরেরদিন অর্থাৎ ১২ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। বাংলাদেশ, ভারতের মতো দেশগুলিতে রমজান মাস শুরু হতে চলেছে আগামী ১৩ মার্চ থেকে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই দেশগুলির তরফে অফিসিয়াল কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে আরব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সময়ের পার্থক্যের কথা মাথায় রেখেই রমজান মাস শুরুর অনুমান করা হচ্ছে।কী ভাবে রমজান মাস পালন?মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস আছে, পবিত্র এই রমজান মাসেই ইসলামের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরান শরিফের জ্ঞান লাভ করেন হজরত মহম্মদ। গোটা রমজান মাস জুড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন মুসলিমরা। পালন করেন রোজার উপোস। সূর্যোদয়ের আগে কিছু খেয়ে নিয়ে শুরু হয় তাঁদের রোজা। এই খাওয়াকে বলে শেহরি। এই শেহরি শেষ করে ফেলতে হয় ফজর বা প্রাতঃকালের নামাজের আগেই। এরপর সারাদিন নির্জলা উপবাস। থুতু পর্যন্ত গেলার নিয়ম নেই। এরপর সন্ধ্যায় মগরিবের নমাজ হয়। আজান শুনে উপবাসভঙ্গ করেন মুসলিমরা। যে খাবার খেয়ে এই উপবাস তথা রোজা ভঙ্গ করা হয় সেটাকেই বলে ইফতার। ইফতার শেষে মগরিবের নমাজ পাঠ হয়।