Himachal Pradesh : প্রতিভাদের ক্ষোভকে গুরুত্ব না দিয়েই বিপদ কংগ্রেসের
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অসন্তোষের ধিকধিক আগুন জ্বলছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সুখবিন্দর সিং সুখুকে মুখ্যমন্ত্রী করার পর থেকেই। তার পুরোভাগে ছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা ও ছেলে বিক্রমাদিত্য। তাঁরা হিমাচল প্রদেশের রাজপরিবারের সদস্যও বটে। হিমাচল জয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরাট ভূমিকা থাকলে নির্বাচনটা লড়া হয়েছিল বীরভদ্রের নামেই।২০২১-এ তাঁর মৃত্যু হয়। তার পর তাঁকে ঘিরেই ছিল দলের সব প্রচার। তাই প্রতিভা সিং মনে করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রিত্ব তিনিই পাবেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। ছেলেকেও ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয় শুধু। বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, ক্ষমতায় আসার ১৪ মাস পরে সেই বিস্ফোরণই এ বার ঘটল।ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে হারিয়ে বিজেপির হর্ষ মহাজনের জয়ের পর প্রয়াত নেতার স্ত্রী প্রতিভা এবং পুত্র বিক্রমাদিত্যের 'ভূমিকা' নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, যে ৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক সিঙ্ঘভির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ভোট দেন তাঁরা সকলেই রাজপরিবারের 'ঘনিষ্ঠ।' বীরভদ্রের পরিবারের সঙ্গে পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি।তিনি বর্তমানে বিজেপিতে। একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির সঙ্গে প্রতিভাদের 'যোগসূত্র' গড়ে তুলতে তাঁর 'বিশেষ ভূমিকা' রয়েছে। প্রতিভা সিং মঙ্গলবার সকালেই সুখুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, 'বর্তমান সরকারের কার্যকলাপে কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ ক্ষুব্ধ। রাজ্যসভা ভোটে তার প্রতিফলন ঘটতে পারে।'দিনের শেষে স্পষ্ট হয়ে যায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভার 'অনুমান' নির্ভুল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, 'প্রথম থেকেই এই ক্ষোভকে তেমন গুরুত্ব দেননি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তাঁরা ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিলেন। সে জন্যই ফাটল চওড়া হয় ও কিছু বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিতে সফল হয় বিজেপি।'এখানে উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের মেয়ের বিয়ের দিন তাঁর বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই হানা দিয়েছিল। অভিযোগ ছিল, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি। প্রতিভা ও বিক্রমাদিত্য দু'জনেই ওই মামলায় সহ-অভিযুক্ত। 'বিদ্রোহ' কি নেহাৎই কাকতালীয়?