দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু করেছিলেন। এই প্রকল্প অত্যন্ত সফল। রাজ্যের মহিলাদের জন্য চালু করা প্রশাসনের এই উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। চলতি বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা করা হয়েছে। ভাণ্ডার প্রকল্পে জেনারেল মহিলারা পেতেন মাসে ৫০০ টাকা। এছাড়াও SC-ST মহিলারা পেতেন ১০০০ টাকা। এবার তা বৃদ্ধি করে যথাক্রমে ১০০০ এবং ১২০০ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। সঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে উল্লেখযোগ্য বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার জন্ম জন্ম ধরে পাবেন। আমরা যতদিন থাকব পাবেন। ৬০ বছর পার হয়ে গেলেও চলবে। যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অনেক গরিব মানুষ বলেন আমার ঘর হল না। ৪৭ লাখ ঘর আমি আগে করে দিয়েছি। কেন্দ্রকে আমরা বলেছি। এপ্রিল মাসের মধ্যে ব্যবস্থা করতে হবে। যদি না করে মে মাসের পর থেকে আমরা বুঝে নেব। যাতে গরিব মানুষ বঞ্চিত না হয় সেই পদক্ষেপ করব। ২৮৬টি উদ্বাস্তু কলোনীকে স্বীকৃতি দিয়েছি।'পাশাপাশি এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, '২০১১ সালের পর রাজ্যজুড়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার কৃষি পাট্টা, ৫০ হাজারের বেশি ফরেস্ট পাট্টা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলে ভলেন্টারি শিক্ষক হিসেবে আমরা নিয়োগ করেছি।' ২৮ লাখ মানুষকে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হয় বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ট্যুরিজম সার্কিটের কথাও শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তৃণমূল সরকারের জমানায় প্রভূত উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি।প্রতিটি জেলায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হবে বিগ বাজার, ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিগ বাজারগুলিতে জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। ফলে আর্থিকভাবে আরও শক্তি বাড়াতে পারবেন তাঁরা।তাৎপর্যপূর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ‘আধার কার্ড বাতিল’ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন। কোনওভাবেই সাধারণ মানুষকে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে আলাদা কার্ড করে দেব।’