কড়া গার্ড দেওয়ায় ক্ষোভ! ৩ শিক্ষককে মার উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
‘কড়া’ গার্ড থাকায় ‘ঘাড় ঘোরাতে না পারা’ একদল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রোষ গিয়ে পড়ল পরীক্ষাকেন্দ্রের তিন শিক্ষকের উপরে। পরীক্ষা শেষে স্কুলের গেটের উল্টো দিকের রাস্তায় ওত পেতে প্রায় আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিকের একদল পরীক্ষার্থী। ‘টার্গেট’ তিন শিক্ষক স্কুল থেকে বের হতেই তাঁদেরকে কিল-ঘুষিতে জখম করে ছাত্ররা।বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ নদিয়ার চাপড়া থানার দইয়ের বাজার বিদ্যামন্দির পরীক্ষাকেন্দ্রের ঘটনা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু বিশ্বাস বলেন, ‘চাপড়া কিং এডোয়ার্ড উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্ররা প্রথম দিন থেকেই অন্য রকম আচরণ করছিল। ওদের দাবি ছিল, হলের মধ্যে কথা বলতে দিতে হবে, যখন খুশি বাথরুমে যেতে দিতে হবে। ওরা অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে আঁচ করে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আগাম জানিয়েছিলাম। পরীক্ষা শুরুর আগে ওই স্কুল থেকে একজন শিক্ষক এসে নিজেদের ছাত্রদের সংযত হয়ে পরীক্ষা দিতে নির্দেশ দিয়েও যান। কিন্তু তারপরেও এরকম ঘটনা ঘটল।’আরও এক শিক্ষক বলেন, ‘বুধবার সবার পরীক্ষা শেষ না হলেও ওই স্কুলের কলা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এদিনই ছিল পরীক্ষার শেষ দিন। পরীক্ষা শেষে খাতা জমা দিয়ে যথারীতি বাইরে চলে গিয়েছিল সব পরীক্ষার্থীই। আধ ঘণ্টা পরে দুপুর দেড়টা নাগাদ শিক্ষকদের কেউ কেউ বাইরে বের হতে শুরু করেছিলেন। স্কুলগেটের গায়েই কৃষ্ণনগর-করিমপুর বাস রাস্তা। স্কুল গেটের উল্টো দিকে যেতেই দীপক মল্লিক, প্রণবকুমার বিশ্বাস ও জ্যোতির্ময় মণ্ডলকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়।’নিগৃহীত শিক্ষক জ্যোতির্ময় মণ্ডল বলেন, ‘দীপকবাবু ও প্রণববাবুকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি হজম করতে হয়েছে। আর ছাত্রদের ধাক্কাধাক্কি সহ্য করতে হয়েছে আমাকে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তিনজন ছাত্রকে ধরে না ফেললে আমাদের হয়তো হাসপাতালে ভর্তি করতে হতো।’সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন ব্যবস্থার নদিয়া জেলা আহ্বায়ক দিলীপ সিংহ বলেন, ‘অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনা। কাউন্সিলে ঘটনা জানিয়েছি।’