ইডির উপর হামলার কথা স্বীকার শাহজাহানের, রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি পুলিসের!
২৪ ঘন্টা | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পিয়ালি মিত্র ও বিমল বসু: রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি পুলিসের! ইডির উপর হামলার কথা স্বীকার শাহজাহানের! রিমান্ডে লেটারে দাবি পুলিসের। পুলিসের দাবি, স্বীকারোক্তিমূলক বয়ানে নিজের দোষ কবুল করেছেন শেখ শাহজাহান। আগাম জামিনের বিরোধিতা করতে শাহজাহানকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করেছিল ইডি। সেই শাহজাহানকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ পুলিসেরও। তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে এবং তাঁকে হেফাজতে পেতে রিমান্ড লেটারে পুলিসের উল্লেখ, তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। জামিন পেলে গা ঢাক দিতে পারেন। প্রভাব খাটাতে পারেন। এমনকি সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। আরও উল্লেখ, ইডি অফিসারদের আটকানোর ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান। শুধু কর্তব্যরত ইডি অফিসারদের আটকানো নয়, মানি-মাসল ও ম্যানপাওয়ার ব্যবহার করে ইডি অফিসারদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করে। তাদের জিনিস লুঠ করে। প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় ইডি। সেই সময় ইডি অফিসাররা তাঁর নাগাল পাননি। উলটে ইডির অফিসারদের উপরই শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা হামলায় চালায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় আহত হন ২ ইডি অফিসার। মাথা ফাটে ইডি অফিসারের। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর সেই হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার শেখ শাহাজাহান। মিনাখাঁ থেকে এদিন ভোরে গ্রেফতার হন সন্দেশখালির 'বাদশা'। গ্রেফতারির পর এদিন বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয় ধৃত শেখ শাহাজাহানকে। পুলিসের তরফে শেখ শাহজাহানের ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। তবে বিচারক ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন। শাহজাহান ধরা পড়ার পর তাঁর ছোট ভাই শেখ আলমগীর যদিও বলেন,"আমরা জানতাম না সে কোথায় ছিল। তার নামে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুলিস দেখবে। কোর্ট দেখবে। কোর্টে যদি সে দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে পারিবারিকভাবে আমরা মেনে নেব। জমি দখল, শ্লীলতাহানির যে মিথ্যা অভিযোগগুলো যাঁরা করেছেন, সেই অভিযোগগুলো যদি প্রমাণিত না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মানহানির মামলা করব। আইনের উপর ভরসা রেখেই বলব, আইনের যেন সবার জন্য সমান হয়।" উল্লেখ্য, গ্রেফতার হতেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল। তাঁকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা পরিষদের পদ থেকেও অপসারিত শাহজাহান।এদিন শাহজাহান শেখ গ্রেফতার হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, "ওদের যে পুলিসের টিম তাতে আমার লোক ছিল। তারা আমাকে সকালেই বলে দিয়েছে। ওদের ফলতায় নিয়ে গিয়েছিল। পুলিস আধিকারিক ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের গাড়িতে। আমি তা বলে দেওয়ার আগে ওকে আবার মিনাখাঁতে এনে রাখা হয়েছিল। তার আগে আকুঞ্জিপাড়াতে ওর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করিয়েছে। ও ওর বাড়ির লোকজনবকে বলেছে, এখন চুপ থাকো। আইনের উপরে ভরসা রাখো। ফিরে এসে সব ঠিক করে দেব।"