শাহজাহানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা! সন্দেশখালির 'বাদশা'কে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত তৃণমূলের'
২৪ ঘন্টা | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রবীর চক্রবর্তী: শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার পথে দল। শেখ শাহজাহানকে সাসপেন্ড করতে পারে তৃণমূল। আজ বা কাল, ২-১ দিনের মধ্যেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সাসপেন্ড করার মতো কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রে খবর এমনই। এদিন সকালেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার শেখ শাহাজাহান। ৮ দিনের মধ্যে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোমবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও বলেন, ৭ দিনের মধ্যে শাহাজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিস। এরপরই এদিন মিনাখাঁ থেকে ভোর রাতে গ্রেফতার হন সন্দেশখালির 'বাদশা'। গ্রেফতারির পর এদিন বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয় ধৃত শেখ শাহাজাহানকে। পুলিসের তরফে শেখ শাহজাহানের ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। তবে বিচারক ১০ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শেখ শাহজাহান। কিন্তু শেখ শাহজাহানের কোনও আবেদন-ই শোনেনি কলকাতা হাইকোর্ট।আদালতে শেখ শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দোপাধ্যায় হাজির হতেই, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কড়া ভাষায় তাঁকে বলেন, "আপনার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছিলাম।" আদালতে শেখ শাহজাহানের আইনজীবী জানান,"আগাম জামিনের আবেদন ২ দিন আগে খারিজ হয়েছে। নিম্ন আদালতে এখনও আমার চারটি আবেদন বিচারাধীন আছে। গতকাল মামলার কথা আমরা জানতাম না।" যার পালটা প্রধান বিচারপতি বলেন, "৪৩টা মামলাও আছে। আগামী ১০ বছর আপনাকে খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। এই মক্কেলের অনেক কাজ করতে ব্যস্ত থাকতে হবে। ৪-৫ জন জুনিয়র রাখতে হবে। এই ব্যক্তির জন্য আমার কোনও সমবেদনা নেই।"গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। ইডির অফিসারদের উপর শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা হামলায় চালায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় আহত হন ২ ইডি অফিসার। মাথা ফাটে ইডি অফিসারের। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যানি শেখ শাহজাহানের। তাঁর নামে লুক আউট সার্কুলার জারি করে ইডি। এদিকে শাহাজান ফেরার হওয়ার পরই রাস্তায় নেমে পড়েন বিরোধী থেকে গ্রামবাসীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীরা এলাকার মহিলাদের হেনস্থা করেছে। সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে নিয়েছে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে সন্দেশখালিতে। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিস। যার মধ্যে রয়েছে মহিলাদের উপরে নির্যাতন, জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার মামলা। সন্দেশখালির বিক্ষুদ্ধ মানুষজন ও বিরোধীরা বারবার প্রশ্ন তোলে, কেন শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না পুলিস। এদিন এডিজি জানান যে, "পুলিস ইচ্ছাকৃতভাবে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না, এটা ঠিক নয়। এটা ভুল। আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল।" তৃণমূলের তরফেও বার বার শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে আইনি বাধার কথা উল্লেখ করা হয়।