• বুমেরাং হয়ে ফিরল পাক পরিকল্পনা, আফগানিস্তানকে শায়েস্তা করতে ফাঁদে পড়ল ইসলামাবাদ
    এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • জেহাদি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি-কে শায়েস্তা করতে পরিকল্পনা নিয়েছিল পাক সরকার। পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগান শরণার্থীদের দেশে পাঠানোর নিয়েছিল সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে করাচি বন্দরকে ব্যবহার করে আফগানিস্তানের বাণিজ্যের উপর জারি করেছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তার ফল হল উলটো। বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইসলামাবাদের শুধু আর্থিক ক্ষতি হয়নি, প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানেও।পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য পাকিস্তানের করাচি বন্দর ব্যবহার করত আফগান সরকার। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে, কাবুলের পাশাপাশি জেহাদি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি-কে শায়েস্তা করা যাবে বলে মনে করছিল ইসলামাবাদ। এরপরেই বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছিল জারি। পাক সিদ্ধান্তের পরেই চাবাহার বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারত, ইরান এবং তাজাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদন করেছিল কাবুল।অনুমতি মেলার পর বর্তমানে চাবাহার দিয়ে পণ্য আমদানি-রফাতানি করছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। এতে শুধু কম কর দিতে হচ্ছে না, সেই সঙ্গে বাঁচছে সময়ও। জানা গিয়েছে, আগে পাক বন্দর ব্যবহারের জন্য আফগান সরকার ইসলামবাদকে কর দিত। এ থেকে প্রচুর আয় হত সরকারের। বর্তমানে সেই আয় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।পাক সাংবাদিক কামরান ইউসুফ জানিয়েছেন যে আফগান সরকার বাণিজ্যের জন্য করাচি বন্দর ব্যবহার করায়, ২০ হাজারের বেশি পাক নাগরিককে কাজে যুক্ত করেছিল। কিন্তু এখন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায়, চাকরির হুমকির মধ্যে পড়েছেন তারা। এই ঘটনার জন্য পাক সরকারকে নিশানা করেছে কাবুল। সেই সঙ্গে তালিবান মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের তরফে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার পিছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি-র হাত রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এরপরেই টিটিপি এবং আফগান সরকারকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ইসলামাবাদ।প্রথমে পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগান শরণার্থীদের দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। এরপরেই বাণিজ্যের জন্য করাচি বন্দর ব্যবহারের উপর জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু সেটা যে বুমেরাও হয়ে ফিরবে তা ভাবতে পারেনি ইসলামবাদ। এতে, দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা আরও বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছে পাক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
  • Link to this news (এই সময়)