সৌরভের মুখে ব্যাচেলর বিরিয়ানির নাম, বিক্রিতে 'দাদাগিরি' বাঁকুড়ার ৪ তরুণের
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
'পকেট খালি থাকলে কপালে জুটবে না বউ'ইক্যুয়ালিটির যুগেও এই কথাগুলো আজকের বেকার ব্যাচেলরদের শুনতে হয়। পকেট গড়ের মাঠ হলেও ভালোবাসার মানুষের হাত ধরেন বহু মেয়ে। কিন্তু, ওই! চেনা পড়শিদের খোঁচা থাকবে না তাও হয়। এই খোঁটা আর খোঁচা খেতে খেতে অনেক তরুণই জীবনের লক্ষ্য নিয়ে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। আবার কেউ কেউ সয়ে নেন বিষয়টা।চার বেকার বন্ধু মিলে বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার 'ব্যাচেলর বিরিয়ানি' তৈরি করেছিল। এবার সেই গল্প উঠে এল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঞ্চালিত শো 'দাদাগিরি'-তে। একটি জনপ্রিয় বাংলা টিভি চ্যানেলে সম্প্রতি সম্প্রচারিত একটি পর্বে শুশুনিয়ার কৌশিক মণ্ডল, বিশ্বজিৎ কর্মকার, দ্বীপ আচার্য এবং সন্দীপ কর্মকারদের অবিবাহিত বেকার থেকে সফল ব্যাচেলর বিষয়ে একটি প্রশ্ন করা হয়। তাঁরা 'ব্যাচেলর বিরিয়ানি' শুরু করেছিলেন। তার নাম নিয়েই হয় এই প্রশ্ন। আর ওই পর্বটি সম্প্রচারের পরেই আরও ভিড় বাড়ছে শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে কৌশিকদের দোকানে।'কিছু একটা করতে হবে', জীবনে এই গোলকে সামনে রেখেই চার বন্ধু মিলে শুরু করেছিলেন 'ব্যাচেল বিরিয়ানি'। আর এই দোকানের ট্যাগলাইন ছিল 'তোমরা খেলে আমাদের বিয়ে হবে'। সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে এই দোকানের খবর এবং চার বন্ধুর কাহিনি ভাইরাল হয়। অন্যদিকে, এই দোকানে খাদ্যরসিকদের আনাগোনা আরও বাড়তে থাকে। আর চারজনের শূন্য থেকে শুরু করে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছনোর খবর তুলে ধরেছিল 'এই সময় ডিজিটাল'। সম্প্রতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শোয়ে এই ব্যাচেলর বিরিয়ানির নাম উঠে এসেছে।তাঁদের সফল হয়ে ওঠার গল্প নেটনাগরিকদের মুখে মুখে ঘুরছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয় তাঁদের গল্পও। চার 'ব্যাচেলরে'র অন্যতম কৌশিক মণ্ডল বলেন, 'দাদার মুখে আমাদের ব্যাচেলর বিরিয়ানি নামটা শোনার পর আমরা আনন্দে আত্মহারা। প্রচুর ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ আসছে। সঙ্গে বাড়ছে গ্রাহকও।'সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাচেলর বিরিয়ানি নিয়ে ক্রেজ ছিলই। এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখ থেকে এই দোকানের নাম শুনতে পাওয়ার পর সেই ক্রেজ এবং দোকানের বিক্রি একলাফে বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি দোকানের ব্যবসায়ীরা। এই লাভের মুখ দেখায় খুশি তাঁরা।দাদাগিরি-তে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখ থেকে দোকানের নাম সামনে আসার পর বিরিয়ানিটা নিয়ে ক্রেজ আরও কয়েকগুণ লাফিয়ে বেড়েছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন, ‘কে বলেছে বাঙালি ব্যবসা পারে না!’