হাতে ফাইবার স্টিক, কায়দাকানুন পুলিশের মতো! 'ফোর্স' ছিল শাহজাহান?
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গ্রেফতার সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহান। ইতিমধ্যেই তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর তারই মাঝে এবার উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের আদলে নিজস্ব বাহিনী ছিল শেখ শাহজাহানের। এমনকী সূত্র মারফৎ আরও জানা যাচ্ছে যে, সেই সমস্ত তথ্য এবার আসতে শুরু করেছে পুলিশ - প্রশাসনের কাছে। পুলিশ তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে।বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাহজাহানের সেই বাহিনীতে চারশ থেকে পাঁচশ সদস্য ছিল। কী ভাবে পুলিশ অ্যাকশন করে সেই সব কায়দাকানুন শেখানো হয় শাহজাহানের বাহিনীকে। শাহজাহান সেই বাহিনীর নাম দেন 'কমান্ডো ফোর্স'। শাহজাহানের সেই বাহিনীতে চারশ থেকে পাঁচশ সদস্য ছিল। তাদের হাতে থাকত ফাইবার স্টিক। অভিযোগ সেই স্টিক নিয়েই অত্যাচার চালান হত গ্রামবাসীদের উপরে। আর সেই সময় শাহজাহান বাহিনীর দাপটে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খলতে ভয় পেতেন গ্রামবাসীরা।যদিও সম্প্রতি শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে গোটা সন্দেশখালি চত্বরে। শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল, জমিতে নোনা দল ঢুকিয়ে ভেড়ি তৈরি, মারধর, হুমকি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের মহিলারা লাঠিসোঁটা, ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অত্যাচারের অভিযোগ তোলে গ্রামের প্রমিলা বাহিনী। কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা সন্দেশখালি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অতীতে যখনই এই বিষয় নিয়ে কেউ কেউ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে, তখনই পুলিশ তাঁদের শাহজাহান বাহিনীর সঙ্গে আপোষ করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা।এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের অভিযোগ গ্রহণের জন্য পুলিশের তরফে ক্যাম্প খোলা হয়। সেই ক্যাম্পে শেখ শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুধু তাঁর বিরুদ্ধেই নয়, অভিযোগ রয়েছে তাঁর ভাই সিরাজ ও আরও কিছু সাঙ্গপাঙ্গর বিরুদ্ধে। এদিন এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারকে। তিনি জানান, সম্প্রতি যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেগুলি ২ থেকে ৩ বছর আগের। তাই সেই সমস্ত অভিযোগের তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে কিছুটা সময় লাগছে। যদিও সমস্ত অভিযোগেরই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে দেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।