তৃণমূল ছেড়ে ফের BJP-তে বিধায়ক, স্বাগত জানিয়েও খোঁচা গেরুয়া শিবিরের!
এই সময় | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
'আজ খুশ তো বহত হোঙ্গে তুম!'এই লাইনটা যে কে কার উপর ব্যবহার করবেন? তা নিয়েই গোলকধাঁধা।প্রেক্ষাপট বড়ই সাদা সরল। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। কিন্তু, আসল ট্যুইস্ট আটকে 'ফের' বা 'পুনরায়' শব্দগুলিতে। আসলে প্রথমে তৃণমূল থাকলেও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে প্রার্থীও করে BJP। জয়ী হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর 'ঘর ওয়াপসি'। কিন্তু, তৃণমূলেও তাঁর মন টিকল কই! তিনি বুধবার ফের যোগ দিয়েছেন BJP-তে। এই যোগদানের পর তাঁকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন সুইচ অফ আসতে থাকে।বুধবার রাতে কালিয়াগঞ্জের আতশবাজি পোড়ানোর পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক করে বিধায়ক সৌমেন রায়ের পুনরায় বিজেপি তে যোগদান নিয়ে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। বহিরাগত বিধায়ক তৃণমূলে কিছু পাওয়ার জন্য এসেছিল। কিছু না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ্য হয়ে বিজেপিতে ফিরেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। বুধবার রাত্রে কালিয়াগঞ্জে শহর তৃণমূলের কার্যালয়ে এতেই কার্যত ‘হুব্বা’ রাজনৈতিক মহল।মুচকি হাসি তৃণমূল নেতাদের ঠোঁটে। কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কোনও কর্মী আতসবাজি পুড়িয়ে উল্লাসে মেতেছেন। তাঁদের কটাক্ষ, 'বহিরাগত বিধায়ক। তৃণমূলে কিছু পাওয়ার জন্য এসেছিল। কিন্তু, আমাদের দল মানুষের জন্য কাজ করে। কিছু না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে ফিরে গিয়েছে।'নির্বাচনের আগে এই 'বদল' নিয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শচিন সিংহ রায় বলেন, 'আমরা চিন্তিত নই। কালিয়াগঞ্জ তথা বঙ্গবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরসা করেন-বিশ্বাস করেন। তিনি আমাদের ঘরের ছেলে ছিলেন না।' অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা বলেন, 'দলের সদস্যরা সকলে আনন্দে ভাসছে। এটা দেখেই বোঝা যায় যে তাঁরা স্বস্তিতে। আজ আমরা সকলে এককাট্টা। তিনি ছেড়ে যাওয়াতে আমাদের মঙ্গল হয়েছে।' তাঁর আরও অভিযোগ, ‘বিধায়ক হয়েও তিনি সরকারি নিয়ম কানুন জানেন না।’অন্যদিকে, রায়গঞ্জের সাংসদ তথা BJP নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এই প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টিতে সকলকে স্বাগত সর্বঅর্থে। কারণ তৃণমূল দলটা যে করা যায় না সেটা বোঝেন। কিন্তু, মাঝে মাঝে যে বদমতলব ধরে অথবা তৃণমূলের ভয়ে তাঁরা এই শব্দগুলো বলেন, তা কাঙ্খিত নয়। ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে তিনি বিধায়ক হন। এটাই কাঙ্খিত ছিল পাঁচ বছর ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক হয়ে তিনি কাজ করবেন। যাই হোক ভুলটা তিনি করেছিলেন। সেই ভুলটা শুধরে নিলেন। এই আরকী!'অন্যদিকে, জেলা BJP সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, 'দেশে মোদীজির বিকল্প কেউ নেই। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিশ্বাস যুক্ত ছিল। যে কোনও জাতীয়তাবাদী মানুষকে দলে স্বাগত। তবে তিনি যখন চলে গিয়েছিলেন সেই সময় তাঁর অবর্তমানে কালিয়াগঞ্জে আমাদের ভিত আরও শক্ত হয়েছে।’