ইউএস, পোল্যান্ডের মতো দেশ যেখানে গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, সেখানে উল্টোপথে হেঁটে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার নিশ্চিত করার পথে হাঁটল ফ্রান্স। গত জানুয়ারিতে ফরাসি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছিল এই সংক্রান্ত বিল। বুধবার ফরাসি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেটে ২৬৭ ভোটে পাশ হলো বিলটি, বিপক্ষে পড়েছে ৫০টি ভোট।ফ্রান্সে গর্ভপাত ১৯৭৪ সাল থেকেই বৈধ, কিন্তু সংবিধান সংশোধন করে সেটাকে আইনি নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি উঠছে বহুদিন ধরেই। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল মাক্রঁ সোমবার দুই কক্ষের একটি যৌথ, স্পেশাল অধিবেশন ডেকেছেন। সেই যৌথ অধিবেশনে তিন-পঞ্চমাংশ ভোট পেলেই সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পেয়ে যাবে।দেশের কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল গর্ভপাতের অধিকার সুনিশ্চিত করার বিরোধিতা করেনি।এই সংশোধনী কার্যকর হলে সংবিধানের ৩৪ ধারা বদলে মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। মাক্রঁর বক্তব্য, তিনি মহিলাদের অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। ফ্রান্সের ন্যায়মন্ত্রী এরিকের কথায়, ‘আমাদের দেশ একটা ঐতিহাসিক দিনের দিকে এগোচ্ছে। বিশ্বে ফ্রান্সই সম্ভবত প্রথম দেশ হতে চলেছে, যেখানে মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার, তাঁদের শরীরের অধিকার সংবিধানের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে।’আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট ২০২২ সালের জুন মাসে গর্ভপাতকে অবৈধ ঘোষণা করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। আমেরিকার ৫০টি স্টেটের মধ্যে ২১টিতে গর্ভপাত প্রায় পুরোপুরি বন্ধ। গর্ভপাতের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কড়া শাস্তির সংস্থান রয়েছে। পোল্যান্ডে গর্ভপাতের উপর পুরোদস্তুর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছে সাংবিধানিক আদালত। এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।