চাঁদকে নিয়ে এবার নতুন চিন্তাভাবনা বিজ্ঞানীদের। সেখানে ফাইবার অপটিক কেবল বসানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। এ ব্যাপারে সংগৃহীত ডেটা নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চন্দ্রপৃষ্ঠে ভূমিকম্প শনাক্ত করার জন্য এই চিন্তভাবনা বলে জানা গেছে।জানা গেছে, চাঁদে ভূমিকম্পের মতো ঘটনা খতিয়ে দেখতে সিসমোলজিস্টদের একটি দল ইতিমধ্যে গবেষণা শুরু করেছেন। আর তা খতিয়ে দেখতে তারা ফাইবার সিসমিক নেটওয়ার্ক স্থাপনের উপর জোর দিয়েছেন। এই গবেষণার সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলিও খতিয়ে দেখছেন দলটির সদস্যরা। চাঁদের পৃষ্ঠে স্থাপিত সিসমোমিটার দ্বারা সংগৃহীত ডেটার মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে সিসমোলজিস্টদের দলটি।জানা গেছে, বর্তমানে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা সিসমোমিটারগুলি অ্যাপোলে মিশনের সময় স্থাপন করা হয়েছিল। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডেটা প্রেরণ করেছে সিসমোমিটারগুলি। যন্ত্রগুলি সাত বছরে চাঁদের কাছাকাছি হাজার হাজার ভূমিকম্পের ঘটনা সনাক্ত করেছে বলে জানা গেছে।পাওয়া তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফাইবার সিসমিক নেটওয়ার্ক চালু করা সম্ভব হলে চাঁদের গভীরের মূল কাঠামো সম্পর্কে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে। দেখা গেছে, সিসমোমিটারগুলি দূরের দিকে কার্যকলাপ প্রকাশ করেছে। যা, পৃথিবীতে দৃশ্যমান নয়। আর এ ব্যাপারে রয়ে গেছে রহস্য।চাঁদের কম্পগুলি কেন পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান নয়, সেটা জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা চাঁদের পৃষ্ঠে আরও সেসমোমিটার বসানোর পক্ষে করেছে সওয়াল। রহস্য উদঘাটনে ডিস্ট্রিবিউটেড অ্যাকোস্টিক সেন্সিং বা ডিএএস, একটি নতুন মুন নেটওয়ার্কের জন্য ডিটেক্টর এবং সেন্সরগুলির একটি সিরিজ চাঁদের স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।গত বছর অগস্ট মাসে চাঁদ সহ অন্যান্য গ্রহ এবং উপগ্রহে টেলি যোগাযোগ স্থাপনে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। নাসার তরফে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য বিশেষ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে বলেও সেই সময় জানিয়েছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা নোকিয়া। যদিও সেই সময় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশ পৃথিবীর মতো চাঁদে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা মোটেই সহজ নয় বলে করেছিলেন দাবি। এবার চাঁদে ভূমিকম্প নির্ধারণের জন্য ফাইবার অপটিক কেবল বসানোর চিন্তাভাবনা আদৌও সাফল্য লাভ করে, সেটাই দেখার।