'কায়দা করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে, এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না, যেই ইডির ওপর হামলা হল, তখনই নানান অভিযোগ উঠতে শুরু করল,' কোচবিহারের এক সভা থেকে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি আরও বলেন, 'কেউ একজন যদি নির্বাচনের সময় দলে না থাকে তবে তো অবশ্যই ক্ষতি। সে শেখ শাহজাহান হোক বা যেই হোক না কেন! যে ক্ষতি হবে তা অন্যভাবে পূরণ করা হবে৷'উদয়ন বলেন, 'সন্দেশখালি নিয়ে এর আগে বিধায়কদের কোনও প্রশ্ন বা অভিযোগ ছিল না৷ দোষ প্রমাণ হলে বোঝা যাবে শেখ শাহজাহান কতটা দোষী কিংবা কী ঘটনা৷ তবে হোমিওপ্যাথি অ্যালোপ্যাথি কবিরাজি যে পদ্ধতিতে হোক কোচবিহার লোকসভা আসন জিততে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।' তিনি আরও বলেন, 'সিপিএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বিধানসভায়, আমি যেখানে বসতাম, সেখান থেকে কয়েকটি আসন দূরে বসতেন। তিনি কোনওদিন বিধানসভায় শেখ শাহাজাহান সম্পর্কে কিছু বলেছেন বলে শুনিনি। সুজন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে বামেদের বহু বিধায়ক ছিলেন, তাঁরাও বিধানসভায় কিছু বলেছেন বলে শুনিনি।'এরপরেই সন্দেশখালিতে পিঠে বানানোর জন্য মহিলাদের ডাকার যে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রসঙ্গে উদয়ন বলেন, 'পিঠে খাওয়ার শখ যে শুধু রাত বারোটায় হয়, সেটা আমার জানা ছিল না। আমার জানা ছিল এসব দুষ্টুমি প্রথম রাতে নয় ভোর রাতে হয়। রাত বারোটার সময় হঠাৎ পিঠে খাওয়ার শখ, জানা ছিল না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দিনহাটায় পিঠে কাণ্ডে অনেককে জড়ানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি৷ তবে সেভাবে প্রতিবাদ করায় বিজেপির লাভ হয়নি।' তবে মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে বিভিন্নমহলে।প্রসঙ্গত, অবশেষে গ্রেফতার সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহান। গতকাল রাতেও মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সকাল হতেই তাঁর গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার গোটা বিষয়টি জানান। এদিন বহিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় শাহজাহানকে। তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক। এরপরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভবানীভবনে। বর্তমানে মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিআইডি-র হাতে। অন্যদিকে শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। এদিকে শাহজাহান গ্রেফতারের পরেই সন্দশখালিতে কার্যত উৎসবে মেতেছেন সেখানকার প্রতিবাদী গ্রামবাসীরা।