• দোষ স্বীকার শাহজাহানের, 'এলাকায় বদনাম রয়েছে,' রিমান্ড কপিতে ঠিক কী লিখেছে পুলিশ?
    আজ তক | ০১ মার্চ ২০২৪
  • শাহজাহান শেখকে নিয়ে বড় আপডেট। বসিরহাট আদালত শাহজাহান শেখকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। পুলিশ যদিও আদালতের কাছে ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছিল। 

    aajtak/india today-র হাতে এসেছে শাহজাহান শেখের মামলায় পুলিশের রিমান্ড কপি। রিমান্ড কপির প্রথম পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে শাহজাহান তার অপরাধ স্বীকার করেছে। ইডি (ED) কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথাও সে কবুল করেছে।  সেখানে আরও উল্লেখ, শেখ শাহজাহান একজন প্রভাবশালী। সে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে যেতে পারে। মামলার সাক্ষীদের হুমকি পর্যন্ত দিতে পারে। 

    আদালতে পুলিশের দায়ের করা রিমান্ড কপিতে আরও উল্লেখ, এই অপরাধে বিপুল সংখ্যক দুষ্কৃতী জড়িত। তাদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। পলাতকদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানাতে পারে শেখ শাহজাহানই।

    'অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হলে এলাকায় হিংসা ছড়াতে পারে' 

    পুলিশের আদালতের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ, শাহজাহান শেখের মতে, সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা রয়েছে। শাহজাহান শেখ ও তার সহযোগীরা মুক্তি পেলে এলাকায়  হিংসা ছড়াতে পারে। অভিযুক্তরা কুখ্যাত। এমনকী তারা নিম্ন আদালতের আদেশ অমান্য করে পালিয়েও যেতে পারে। 

    এদিকে বৃহস্পতিবারই শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, 'আমরা শেখ শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যা বলি, তাই করি। অতীতেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি এবং আজও করছি। প্রসঙ্গত, এই শাহজাহান সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের আহ্বায়কের ছিল। একইসঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্যও ছিল সে। 

    জানা যায়, শাহজাহান শেখের আর এক সহযোগী আমির আলি গাজিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  কয়েকদিন ধরেই আমির আলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসছিল। গ্রামবাসীদের হুমকি দিয়ে টাকা আদায় ও MNREGA-এর অধীনে জব কার্ডধারীদের কাছ থেকে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে, শাহজাহান রাজনীতিতে প্রবেশ করে। শোনা যায়, সিপিআইএম পার্টিতে যোগ দেওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার শুরু করে শাহাজাহান। সে এলাকা দখল করতে শুরু করে। চাষযোগ্য উর্বর জমি কেড়ে নিয়ে ভেড়িতে পরিণত করে। তবে শাহাজাহানের এই জোর-জবরদস্তি অনেকেই মানতে চাননি। যেসব কৃষক তাকে জমি ইজারা দিতে রাজি হননি, তাঁদের উপর অত্যাচার করতে শুরু করে শাহাজাহান। এভাবে ক্রমাগত ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে শাহাজাহান। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল হয়। শাহাজাহানও তৃণমূলে যোগ দেয়।

    তথ্য সহায়তা - ঋত্বিক ভালেকর 
  • Link to this news (আজ তক)