• সতীর্থর বাবা নিরাপত্তারক্ষী, দেখুন শুভমনের আচরণ, 'প্রিন্স'কে কুর্নিশ নেটপাড়ার
    ২৪ ঘন্টা | ০১ মার্চ ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আইপিএলের (IPL 2024) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। চলেও এসেছে ক্রোড়পতি লিগের দিনক্ষণ। চব্বিশের আইপিএল শুরু হতে চলেছে ২২ মার্চ থেকে। চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। আইপিএল শুরুর প্রাক্কালেই হৃদয় ছুঁয়ে নিয়েছে এক ঘটনা। নেটপাড়ায় তীব্র চর্চা চলছে যা নিয়ে। শিরোনামে ভারতীয় ক্রিকেটের 'প্রিন্স' শুভমন গিল (Shubman Gill)। হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya) মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে (Mumbai Indians) ফিরে যাওয়ায় শুভমনের কাঁধেই এখন গুজরাতের গুরুদায়িত্ব। অধিনায়কোচিত আচরণেই এবার সবার প্রশংসা কুড়িয়ে নিলেন ভারতীয় দলের তারকা। এবার আসা যাক ঘটনার প্রসঙ্গে। শুভমন এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের সঙ্গে রয়েছে। তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্য়াচের চলতি টেস্ট সিরিজ খেলতে ব্য়স্ত। চতুর্থ টেস্ট হয়েছিল রাঁচিতে। আর রাঁচির বীরসা মুন্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুভমনের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় এক নিরাপত্তারক্ষীর। যাঁর দু' হাত ধরে শুভমনকে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করতে দেখা যায়। এখন প্রশ্ন কে এই নিরাপত্তারক্ষী? মানুষটির নাম ফ্রান্সিস জ্য়াভিয়ার মিনজ, কে এই ফ্রান্সিস। শুভমনের গুজরাত দলের সতীর্থ  রবিন মিনজের বাবা তিনি। রবিনের সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় নেই। তিনি ঝাড়খণ্ডের অত্য়ন্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার। রাঁচির রাজপুত্র এমএস ধোনির অন্ধভক্ত রবিন। নিলামে রবিনের বেসপ্রাইজ ছিল ২০ লক্ষ টাকা। বাঁ-হাতি এই আদিবাসী ব্য়াটারকে গুজরাত নিয়েছে মাথা ঘোরানো অঙ্কে। কোচ চঞ্চল ভট্টাচার্যের ছাত্রের জন্য় শুভমনের দল খরচ করেছে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। ২১ বছরের রবিনই আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার। বিগত ১৬ বছরে কোনও আদিবাসী আইপিএল খেলেনি। রবিনের বাবাকে খুব ভালো ভাবেই চেনেন শুভমন। তাই তাঁকে দেখে শ্রদ্ধা এবং শিক্ষার পরিচয় দিলেন গত মরসুমে আইপিএলের সর্বাধিক রানশিকারি (১৭ ম্য়াচে ৮৯০ রান)।অনেকেরই প্রশ্ন, যেখানে ছেলে আজ আইপিএলের হাত ধরে কোটিপতি, তাহলে কেন তাঁর বাবাকে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতে হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে এক সর্বভারতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সিস বলেছেন, 'দেখুন ছেলে আইপিএল ক্রিকেটার বলেই আমি আরামে থাকতে পারি না। এটা ঠিক যে, এখন পরিবারে আর্থিক নিরাপত্তা অনেক বেশি। কিন্তু কেউ জানে না যে, জীবন কখন কোন পথে নিয়ে যায়। আমাকে অনেক সতীর্থই বলে যে, কেন আমি এখনও কাজ করি? আমি তাদেরকে বলি আমার যতদিন মনে হবে যে, আমি কাজ করার মতো জায়গায় আছি, সুস্থ আছি। আমি কাজ করে যাব। কিছু উপার্জন করতে না পারলে, আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারব না। অনেকেই বিমানবন্দরে আসে। কারোরই চোখে আমি পড়ি না। আর হবেই বা কেন? আমিও তো আরও অনেক নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্য়েই একজন।' জানা নেই শুভমন এই গল্পটি জানেন কিনা!

      
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)