Taiwan China Conflict : তাইওয়ান সীমান্তে ফের চিনের রক্তচক্ষু
এই সময় | ০১ মার্চ ২০২৪
উত্তাপ ও উত্তেজনা কমার লক্ষণ নেই, বরং তা দিনকে দিন চড়ছে। তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, মোট ২৪ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সীমান্ত বরাবর চিহ্নিত করা হয়েছে চিনা বায়ুসেনার ১৯টি যুদ্ধবিমান ও নৌসেনার ৭টি জাহাজকে। তাইপেইয়ের দাবি, তার মধ্যে ১২টি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীতে দু’দেশের মধ্যরেখা অতিক্রম করে ঢুকে পড়েছে তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জ়োন (এডিজ়)-এ।এটা আকাশপথের এমন এক অঞ্চল, যেখানে জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে কোনও দেশ অন্যান্য দেশের বিমান চলাচলে নজরদারি চালায় ও নিয়ন্ত্রণ রাখে। চিনের এই পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে তাইওয়ানও নিজেদের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ওই অঞ্চলে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে নজরদারি চালাতে সক্রিয় করা হয়েছে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমগুলোকেও।এ দিন এক্স-এ তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে লিখেছে, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজরদারি চালাচ্ছে। চিনের সেনাবাহিনীর যে সব গতিবিধি ধরা পড়েছে, তার উত্তরে আমরা যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং উপকূলীয় মিসাইল সিস্টেমকে সক্রিয় করেছি।’তাইপেইয়ের দাবি, কেবল এই ফেব্রুয়ারি মাসেই তাইওয়ান নিজেদের এলাকায় প্রায় ঢুকে পড়া চিনের যুদ্ধবিমান চিহ্নিত করেছে ২৫৩ বার, চিনা যুদ্ধজাহাজের ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে ১৫০ বার। সামরিক পরিস্থিতি যা, তাতে মনে হচ্ছে, তাইওয়ানের ঘাড়ে যেন নিঃশ্বাস ফেলছে চিন। সম্প্রতি কিছু কাল যাবৎ তাইওয়ান সীমান্ত বরাবর চিনের সামরিক গতিবিধি, যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের মহড়া চলার কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্কে নতুন টেনশন তৈরি হয়েছে।২০২০-র সেপ্টেম্বর থেকে তাইওয়ানের চারপাশে বায়ুসেনার বিমান, যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা বাড়িয়ে চিন ক্রমশ জোরালো ও শক্তিশালী করছে তার ‘গ্রে জ়োন ট্যাকটিক্স’-এর ব্যবহার। ইউএসএ বার বার সতর্ক করছে তাইওয়ান সীমান্ত বরাবর চিনের গণমুক্তি ফৌজের (পিএলএ) গতিবিধি নিয়ে। বেজিংও তার অখণ্ড চিন নীতিতে অটল। সীমান্ত বরাবর সামরিক কার্যকলাপ ক্রমশ বাড়ানোর মাধ্যমে তাইওয়ান আগ্রাসনের পথে চিন এগোচ্ছে কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও।