একশো দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে তুলোধনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।রাজ্যের প্রায় ৫৯ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পে কাজ করেও টাকা না-পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁদের বকেয়া মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে নির্মলা অভিযোগ করেন, রাজ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব-কার্ড হোল্ডারকে টাকা দেওয়া হয়েছে। তা ফেরাতে উদ্যোগী হয়নি রাজ্য সরকার। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘এই অর্থ কি কারও পৈতৃক অর্থ? দেশের করদাতাদের টাকা এটা। এখন রাজ্য যে নিজের তহবিল থেকে টাকা দেওয়ার কথা বলছে, তা-ও করদাতাদের টাকা।’বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই বিবৃতির কড়া জবাব দেন। অভিষেক বলেছেন — ‘বাপ কা পয়সা নেহি, পাপ-কা পয়সা।’ কেন এই মন্তব্য? একটি সংবাদমাধ্যমে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের কথায়, ‘গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আদায় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া রাখা হয়েছে। তাই অর্থমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়েছি বলছি, এটা বাপ-কা পয়সা নয়। বরং পাপ-কা পয়সা।’তাঁর মতে, ‘পাপ এই কারণে যে রাজ্য থেকে এত টাকা তুলে নিয়ে গেলেও রাজ্যের অধিকারের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।’ একশো দিনের কাজে লক্ষ লক্ষ মানুষের টাকা বকেয়া রেখে কেন্দ্র বিলাসবহুল বিমান কিনেছে বলে অভিষেকের বক্তব্য। একেও তিনি ‘পাপ’ বলে মনে করছেন।অভিষেকের কথায়, ‘এই টাকা হলো মানুষের কষ্টার্জিত মজুরির টাকা। তা দেওয়া হয়নি। অথচ কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জন্য দামি বাসভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দ্রের কর্তাদের জন্য বিলাসবহুল বিমান কেনা হয়েছে, আর ফেক-নিউজ় ছড়ানো হয়েছে।’একশো দিনের কাজের বঞ্চনাকে সামনে রেখেই আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’ করবে তৃণমূল। যদিও বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা বক্তব্য, ‘আমরা বারবার বলছি, একশো দিনের কাজে টাকা খরচের হিসেব দাও, টাকা নাও। তৃণমূল রাজ্যে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক করেছে বলে টাকা বন্ধ হয়েছে। এই পাপ তৃণমূলই করেছে।’