• Election Commission Of India : ভোটের লাইনে ভিড় কেমন? এসএমএসেই মিলবে খবর
    এই সময় | ০১ মার্চ ২০২৪
  • ভোট দিতে গিয়ে বুথের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আর গলদঘর্ম হতে হবে না। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগেই ভোটাররা জানতে পারবেন লাইনে কতটা ভিড়। সেই মতো ভোটদানের জন্যে উপযুক্ত সময় বাছতে পারবেন ভোটাররা। ভোটারদের কষ্ট লাঘবে এমনই অভিনব পরিকল্পনা করেছে কমিশন। সে জন্যে নতুন ধরনের অ্যাপ বানানো হচ্ছে।সেই মোবাইল অ্যাপ থেকেই বুথের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে পারা যাবে। ভোটারদের মোবাইল ফোনে পৌঁছে যাবে এসএমএস। কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা জানাচ্ছেন, ভোট দিতে বেরোনোর সময়ে ভোটাররা জানতে পারেন না বুথে কতটা ভিড় রয়েছে। এক-এক সময়ে বুথে প্রচণ্ড ভিড় হয়ে যায়। তখন ভোটারদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।বয়স্ক এবং অসুস্থরা সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েন। কেউ কেউ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর ভয়ে ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে যান। আবার কখনও বুথে ভোট দেওয়ার লোক থাকে হাতেগোনা। কমিশনের কর্তারা মনে করছেন, বুথের পরিস্থিতি সম্পর্কে যদি ভোটারদের আগে থেকেই ওয়াকিবহাল করা যায় তা হলে এই সমস্যা মিটতে পারে। তাতে ভোটদানের হার যেমন বাড়বে, তেমনই ভোটারদের ভোগান্তিও কমবে।কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বার কম করে ৫০ শতাংশ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। তার মাধ্যমে সেখানে প্রতিনিয়ত কী ঘটছে, সেটা ক্যামেরাবন্দি হবে। বুথে কতটা ভিড় রয়েছে, সেটাও জানা যাবে। সেই মতো মোবাইল অ্যাপ এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে বুথের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক খবর পৌঁছে দেওয়া হবে।এই কাজে এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। পুরো বিষয়টি যাতে সুচারু ভাবে হয়, সে জন্যে একটি আইটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পাশাপাশি এ বারের লোকসভা ভোটে ভোটার এবং ভোটকর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্যে বা়ডতি নজর দিচ্ছে কমিশন। ভোটাররা যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন, সে জন্যে স্থানীয় প্রশাসনকে সব রকম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।কমিশনের নির্দেশ, যেখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হবে, সেখানে যেন পর্যাপ্ত আলো থাকে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য অস্থায়ী র‍্যাম্প রাখতে হবে। রোদ-জলের হাত থেকে বাঁচতে বুথের সামনে অস্থায়ী শেড বানাতে হবে। বুথ যেখানে হবে, সেখানে দরজা-জানালা ভাঙা থাকলে অবিলম্বে সারিয়ে ফেলতে হবে। দরকার হলে পার্টিশন ওয়াল বানাতে হবে।এ ছাড়া ট্যাপ, জলের রিজার্ভার, শৌচাগার ঠিকঠাক রাখতে হবে। এ জন্যে সেক্টর অফিসাররা স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শনে যাবেন। রবিবার, ৩ মার্চ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশের নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। ৪ মার্চ কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে বিভিন্ন স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে।পরের দিন অর্থাৎ ৫ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, ইনকাম ট্যাক্স-সহ বিভিন্ন সরকারি এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের কর্তারা। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চের।
  • Link to this news (এই সময়)