• প্রথম বিয়ের কথা জেনে প্রশ্ন স্বামীকে, উত্তরে মিলল বেধড়ক মার
    ২৪ ঘন্টা | ০১ মার্চ ২০২৪
  • প্রসেনজিৎ সর্দার: প্রথমবারে বিয়ের কথা দ্বিতীয় স্ত্রী জানতে পেরে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করায় অশান্তি। স্ত্রী সহ বাপের বাড়ি লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ তার স্বামীর বিরুদ্ধে। জখম চার। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে গুরুতর জখম হলেন চার জন। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানা অন্তর্গত মিঠাখালি এলাকায়। গুরুতর জখম হয়েছেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী লতিকা রায় সহ মোট চার জন। আহতরা বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় স্বামী সহ দ্বিতীয় পক্ষর স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ক্যানিং থানায়।

    স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় স্বর্ণকার অলক রায়। ২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরার বাসিন্দা পাপিয়া রায়কে বিয়ে করেন। কিন্তু  কিছুদিন সংসার হওয়ার পরে মনোমালিন্য হওয়ায় অলোককে ছেড়ে প্রথম পক্ষে স্ত্রী চলে যান বাপের বাড়িতে।এরপর দ্বিতীয়বার আবারও দেখাশোনা করে ক্যানিংয়ে নাথ পাড়ার বাসিন্দা  লতিকা রায়কে বিয়ে করে অলোক। কিন্তু তার স্ত্রী বা তার পরিবারকে প্রথম বিয়ের কথা স্বামী অলক রায় জানায়নি বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময় দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তার স্বামীর প্রথম বিয়ের কথা জানতে পারেন। সেই বিষয়ে স্বামীর কাছে জানতে চাইলে প্রায়ই অশান্তি চলত বলে অভিযোগ। এবং সেই কথা তুললেই স্বামী অলক তাঁর স্ত্রীকে মারধর করত বলে অভিযোগ।সেই কারণে লতিকা আর অলকের সঙ্গে সংসার করবে না বলে তার বাপের বাড়ি চলে যান। এরপর তার বাপের বাড়ি থেকে বিয়ের সময় বিয়েতে যে জিনিসপত্র দিয়েছিল সেগুলো আনতে যায় লতিকা সহ তার পরিবার।শ্বশুরবাড়িতে তার স্বামীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। এমনকি লতিকা সহ তার পরিবারের চারজনকে বেধড়ক মারধর করে তার স্বামী সহ পরিবারের লোকজন এমনটাই অভিযোগ। ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে লতিকার পরিবার তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে।উল্টোদিকে তার স্বামী অলোক রায় জানান দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও তার পরিবার তাকে মারধর করেছে। এই বিষয়ে তিনিও ক্যানিং থানায় তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। একে অপরের অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)