সীমান্ত এলাকায় রাস্তা তৈরি হলেও এর বেহাল দশা নিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
২৪ ঘন্টা | ০১ মার্চ ২০২৪
শ্রিকান্ত ঠাকুর: রাস্তাশ্রী, পথশ্রী, গ্রাম সড়ক যোজনার মত একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও গ্রাম গঞ্জের রাস্তার হাল যে এখনও ফেরেনি সেই অভিযোগ মাঝে মাঝেই সামনে উঠে আসে। কিন্তু জেলা সদর শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ১০ বছর আগে তৈরি হওয়ার পর আর কেউ সেদিকে ফিরেও তাকায়নি বলে অভিযোগ। সমস্যায় পড়েছেন চক ভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েত ও জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের মানুষ।চক ভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রিন্স ক্লাব মোড় থেকে ফতেপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে চলাচলের অযোগ্য। তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বারবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সকলে মিলে পিটিশন জমা করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। তা সত্ত্বেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য চেষ্টা করেছেন কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।
ফতেপুর, বাদ মুলুক, জলঘর, গঙ্গাসাগর চককাশি-র মতো গ্রামগুলি থেকে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ বালুরঘাট শহরে স্কুল, কলেজ, বাজার, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। সব থেকে করুন অবস্থা ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ফতেপুর লোহার ব্রিজ থেকে বাদ মুলক পর্যন্ত রাস্তাটির।পাকা রাস্তা হলেও পিচের চাদর উঠে গেছে কবেই। পাথর উঠে গিয়ে মাটি বেরিয়ে গিয়েছে রাস্তার মাঝখান থেকে। বড় গাড়ি দূরের কথা সামান্য টোটো চলাচল করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিদিন। রাতের অন্ধকারে সাইকেল নিয়েও যাতায়াত করা যায় না। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ১০ বছর আগে এই রাস্তা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের কোন উদ্যোগই নেয়নি প্রশাসন।জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরিশ সরকার অবশ্য বলেছেন, ‘পথশ্রী প্রকল্প মত আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে। বিশেষত গ্রামগুলি রাস্তা উন্নয়নে বিশেষ নজর দিচ্ছে জেলা পরিষদ। স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্যদের কাছ থেকে জেলা জুড়ে কোথায় কী রাস্তা খারাপ হয়েছে এবং কোন রাস্তা এখুনি সারিয়ে ফেলতে হবে তার তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। আগামী বর্ষার আগেই এই সমস্ত রাস্তাগুলি পুনঃনির্মাণ, কোথাও প্রয়োজনে মেরামতির কাজ শুরু হবে’।