প্রবীর চক্রবর্তী: এবার ফের বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। এবার ফের সামাজিক মাধ্যমে বোমা ফাটালেন তিনি। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো বদল হওয়া নিয়ে এবার শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।জানা গিয়েছে শুক্রবার সকালে হঠাৎই বদলে যায় কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে তৃণমূলের নাম মুছে যায়। এরপরেই সেখানে দেখা যায় নতুন বায়ো। বায়োতে তাঁর পরিচয় হিসেবে লেখা হয় তিনি একজন ‘সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী’। এরপরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি। সেই পোস্টে নাম না করে উত্তর কলকাতার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। এরপরেই বায়োতে এই বদল তুঙ্গে তুলেছে আলোচনা। প্রশ্ন উঠছে কী করতে চলেছেন কুণাল ঘোষ?বৃহস্পতিবারই দলের নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ট্যুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এরপরেই লোকসভা ভোটের আগে আরও একবার দলের ভিতরের অসন্তোষ চলে আসে প্রকাশ্যে। ওই নেতার কাজ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, 'নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক এবং দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না’।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, উত্তর কলকাতা অঞ্চলের এক সাংসদের বিরুদ্ধেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি। কুণাল ঘোষের আগে তাপস রায়ও এই নেতার সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন। তইই বলেন, 'সহ্যেরও একটা সীমা আছে। দল সব জানে। সবসময় আমি কথা বলি না। আর বললে তা ফেরত নিই না। অন্য দলের সঙ্গে সখ্যতায় মমতা ও দলের ক্ষতি হচ্ছে। সবাই মিলে যদি এরকম বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেসের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, সখ্যতা, সৌজন্য, পুজোআর্চা এসবে যায়, সেটা কি ঠিক হবে? দল কি তার অনুমোদন দেবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘কে কার ব্যক্তিস্বার্থে কী করছে, জানি না। অনেকেই একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দলনেত্রীকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্য়বহার করেন’।