সরকারি কর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার বুনিয়াদি সব কাজকর্ম সামলান আশা কর্মীরা। অথচ নামমাত্র ভাতার বিনিময়ে তাঁরা কাজ করে চলেন দিনের পর দিন। মেলে না সরকারি কর্মীর কোনও সুযোগ-সুবিধাই। দীর্ঘ দিন ধরে ভাতা বৃদ্ধি করে সরকারি কর্মীর মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন রাজ্যের আশা কর্মীরা। কিন্তু সে দাবিতে কখনও কান দেয়নি সরকার।এবার তাই কাজই বন্ধ করে দিতে চলেছেন আশা কর্মীরা। সাত দফা দাবিতে আজ, শুক্রবার থেকে রাজ্যজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে নামছেন রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার আশা কর্মী। ফলে ধাক্কা খেতে চলেছে গুচ্ছ পরিষেবা। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মা, প্রসূতি ও শিশুদের স্বাস্থ্য দেখভালের পরিষেবা।পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের ডাকে হতে চলা এই কর্মবিরতির কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে বৃহস্পতিবারই স্মারকলিপি পেশের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন সব জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরের আশা কর্মীরা। এদিন দলে দলে আশা কর্মীরা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়ে গিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির নোটিশ দিয়ে আসেন।আশা কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক ইসমত আরা খাতুন বলেন, ‘আশা কর্মীরা প্রসূতি, মা, শিশু ও গ্রামীণ জনসাধারণের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। এই পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে বহু অতিরিক্ত কাজও করে চলেছেন আশা কর্মীরা। আবার বহু কাজের সরকারি অর্ডার থাকা সত্ত্বেও তার পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে না।’তিনি জানান, এ সব নিয়ে সরকারকে বহু বার বলা হলেও কেউ গ্রাহ্য করেননি তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা।