মাসের শেষ দিনে অবশেষে পাকিস্তানের এমপি-রা শপথ নিলেন। বৃহস্পতিবার বসেছিল নবনির্বাচিত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রথম অধিবেশন। সেখানেই এমপি-রা শপথ নেন। এ দিন জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন, বিলাবল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), ইমরান খানের পিটিআই, জেইউআই-এফ এবং অন্য রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা।যদিও পুরোটা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়নি। অধিবেশনে ইমরানের দলের অনেকেই জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপির’ অভিযোগে সরব হন। তবে এ দিন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হয়নি, তা হবে রবিবার। নওয়াজ শরিফ-বিলাবল ভুট্টো জোট করার পরে কিছু নির্দল তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে তাঁদের মিশ্র জোটের সদস্য-সংখ্যা সরকার গড়ার মতো আছে। তবে এখানে একটা বিষয় আছে।পাকিস্তানে মোট আসন ৩৩৬টি। তার মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোট হয়। বাকি ৭০টি-তে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীদের মনোনীত করা হয়। এই ৭০টি-র মধ্যে ৬০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এমতবস্থায় নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও কিছুই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ ইমরানের দলও তাঁদের প্রার্থী দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য।এ দিকে, নওয়াজ-কন্যা মারিয়াম এ দিন এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি পাক পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। গিয়েছিলেন, পুলিশ হেড কোয়াটার্সে। সেখানে এক মহিলা পুলিশ কর্মী কম্পিউটারে কাজ করছিলেন, তা পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন মারিয়ম। হঠাৎই ওই পুলিশকর্মীর মাথার ওড়নাটি সরে যায়।পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মুখ্যমন্ত্রী তখন তা ঠিক করে দেন। বিতর্ক এই নিয়েই। দলের তরফে বলা হয়েছে, ‘সহানুভূতি ও বোঝাপড়ার মুহূর্ত’। তবে অনেকেই মনে করেছেন যে মারিয়াম আসলে ‘মরাল পোলিসিং’ করছিলেন, যা সমর্থনযোগ্য নয়।