বছর তিনেক আগে ঘটা করে বিয়ে হয়েছিল চিকিৎসক দম্পতির। তবে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই নিত্য অশান্তির সূত্রপাত। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। শেষ পর্যন্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। অভিযোগ, সেই মামলা তুলে নিতে যে অঙ্কের টাকা দাবি করেছেন তিনি তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্বামীর। লাখ নয়, মামলা তুলে নিতে কোটির অঙ্কে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি, বলে অভিযোগ স্বামীর। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পেশায় চিকিৎসক স্বামী। অভিযোগ, থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্বামী।অভিযোগ, গাজিয়াবাদে স্বামীর বিরুদ্ধে পণের মামলা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে স্বামীর থেকে দেড় কোটি টাকা দাবি করেছেন এক মহিলা। অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এরপর আদালতে বিচার চেয়ে মামলা করেন মহিলার স্বামী। পেশায় চিকিৎসক মহিলার স্বামীও। চিকিৎসকের স্ত্রী ও তাঁর বাবা-মাকে সমন জারি করেছে আদালত। গাজিয়াবাদের কবিনগর থানা এলাকার ঘটনা।নয়ডার বাসিন্দা চিকিৎসক প্রখর গর্গ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগ, ১৫ জুলাই ২০২১ সালে প্রখরের সঙ্গে বিয়ে হয় কবিনগরের বাসিন্দা চিকিৎসক হেমিকা আগরওয়ালের। বিয়ের পর থেকে দুই জনের মধ্য়ে অশান্তি লেগে থাকত। এরপর কবিনগর থানায় ডঃ প্রখর সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পণের অভিযোগের মামলা করেন হেমিকা। মামলা তুলে নিতে দেড় কোটি টাকা দাবিও করেন। এই বিষয়ে কবিনগর থানায় অভিযোগ জানান প্রখর। পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় আদালতরের দ্বারস্থ হন প্রখর। আদালতে দ্বারস্থ হয়ে প্রখরের দাবি, চিকিৎসক হেমিকা আগরওয়াল, তাঁর মা দিব্যা আগরওয়াল ও তাঁর বাবা চিকিৎসক রাকেশ চন্দ্র আগরওয়াল মামলা প্রত্যাহারের জন্য দেড় কোটি টাকা দাবি করেছেন। অভিযোগ, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রখরের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদলত হেমিকা সহ তিনজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। ২৮ মার্চ তাঁদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য়, সম্প্রতি পণ না নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাজস্থানের জালোরের এক যুবক। তাঁর পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন সকলে। হুকম সিংয়ের মেয়ের সঙ্গে সাংদোয়ার বাসিন্দা ডাক্তার পর্বত সিংয়ের ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। বাগদানে ওই মেয়ের বাবাও অন্যদের মতো বরকে নগদ ১১ লাখ ২১ হাজার টাকা যৌতুক দেন। সবার সামনে নগদ টাকা দেওয়া হলে পাত্র মাত্র এক টাকা হাতে তুলে বাকিটা নারকেল-সহ ফেরত দেন।