• আজ রাজভবনে মোদীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন মমতা
    আজ তক | ০১ মার্চ ২০২৪
  • পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। আজ হুগলির আরামবাগে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি হেলিকপ্টারে করে কলকাতা ফেরেন। সেখানে থেকে গাড়িতে আসেন রাজভবনে। আজ এখানেই রাত্রিবাস করবেন তিনি। কাল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জনসভায় ভাষণ দেবেন এবং বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    শুক্রবার রাতে কলকাতার রাজভবনে থাকবেন তিনি। রাজভবনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে আসবেন। এই বৈঠকটি প্রটোকল অনুযায়ী। তবে বৈঠকের সময় এখনও জানা যায়নি।

    গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনা ১.১৮ লক্ষ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সোমবার আনুমানিক ৩০ লক্ষ MGNREGA কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ শুরু করেছে, যার পরিমাণ ২,৭০০ কোটি টাকা। নবান্ন সূত্রে খবর, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও মোদীর কাছে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানাতে পারেন।

    সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, আজ সন্দেশখালিতে যে নারী নির্যাতন হয়েছে, তা দেখে নারী আন্দোলনের পুরোধা রামমোহন রায়ও কষ্ট পাবেন। মোদী সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার ডাক দেন আরামবাগের দলীয় সভা থেকে। বলেন, 'সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, যা দেখে গোটা দেশ দুঃখিত। রাজা রামমোহনের আত্মা আজ যেখানেই থাকুন, দুঃখ পাবেন। ওঁর আত্মা আজ কাঁদছে।'

    আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'তৃণমূলের নেতারা সন্দেশখালিতে বোন-মেয়েদের সঙ্গে দুঃসাহস করেছে। সমস্ত সীমারেখা পার করা হয়েছে। মহিলারা আওয়াজ তুলেছে, মমতা দিদির কাছে সাহায্য চেয়েও মেলেনি। তিনি সেখানকার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি লাগিয়ে দিয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালি নিয়ে দাবি করেন, বিজেপি নেতারা রাত-দিন লড়েছে। মা-বোনেদের সম্মানের জন্য। বিজেপির চাপেই গতকাল পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, 'তৃণমূলের রাজত্বে তৃণমূলের নেতা দু'মাস বেপাত্তা ছিল। কেউ তো তাকে বাঁচিয়েছে।' এরপরই প্রধানমন্ত্রী জনসভায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। বলেন, 'এরকম তৃণমূলকে মাফ করবেন। মা-বোনের সঙ্গে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন কি নেবেন না। আজ বাংলার জনতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইছে। লজ্জা লাগা দরকার। আমার সবথেকে খারাপ ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের দেখে লাগে। ওই নেতারা সন্দেশখালির কাণ্ডে চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে বসে আছেন। পাটনা, মুম্বই, ব্যাঙ্গালুরুতে বৈঠক করেন। কিন্তু তাঁরা এখাকার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাওয়ার সাহস করতে পারেননি। সন্দেশখালিতে একবার দেখতেও যায়নি। কংগ্রেসের রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ বলেছেন, আরে ছাড়ো বাংলায় তো এসব চলতেই থাকে। এটা বাংলার অপমান কী না বলুন। বলুন বাংলার মহান সাংস্কৃতিক পরম্পরার অপমান কী না বলুন।'
  • Link to this news (আজ তক)