অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানের শেষে আজই শিশুপুত্রকে বর্ধমানের শিশু কল্যান দফতরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সকলের মন ভারাক্রান্ত।মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে এক প্রসূতিকে কাটোয়া থানার পুলিস শহরের রাস্তা থেকে তুলে এনে ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছিল।ওইদিনই গভীর রাতে ওই মহিলা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। ফুটফুটে শিশু পুত্রটিকে দেখানো হলেও মায়ের অস্বাভাবিক আচরণের জন্য তার কাছে দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার নাম ছিল রিজুয়ান বিবি। সেইজন্য শিশুপুত্রের নাম রাখা হয়েছে রায়ান’।কর্তব্যরত নার্স সহ চিকিৎসকরা জন্মের পর রায়ানকে তার মায়ের কাছে নিয়ে গেলে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া না পেয়ে এসএনসিইউ বিভাগের নার্স, কর্মবন্ধু সহ চিকিৎসকরা শিশুপুত্রের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে। রায়ানকে কৃত্রিম উপায়ে দুধ খাওয়ানো হত।প্রায় মাস ছয়েক ধরে শিশুপুত্র রায়ানকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছেন মৌমিতা বাগ, জুয়েল সাহা, প্রমিতাদের আজ আনন্দের দিন কারণ একরত্তি শিশু রায়ানের আজ অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান হল।আজই অন্নপ্রাশনের পরে রায়ানকে বর্ধমানের শিশু কল্যান দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে হাসপাতালের নার্স সহ চিকিৎসকদের মন ভারী হয়ে উঠছে।টোপর, মালা, পরিয়ে রায়ানকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠলেন হাসপাতালের সকল কর্মী। উপস্থিত সকলকে করানো হল হল মিষ্টি মুখ।অন্নপ্রাশনের সময় রায়ানের গলায় স্টেথো জড়িয়ে দেওয়া নার্স, চিকিৎকদের আনন্দে ভাটা পড়ল রায়ানের চলে যাওয়ার খবরে। শিশু রায়ানের মায়ার স্পর্শ এসএনসিইউ বিভাগের সকল কর্মী ভুলতে পারছে না।