বাংলার পর্যটনে গুরুত্ব কমছে হিমালয়ের! নতুন উদ্যোগ পর্যটন বিভাগের
২৪ ঘন্টা | ০১ মার্চ ২০২৪
নারায়ণ সিংহ রায়: বাংলার হিমালয়ের গুরুত্ব কমছে। ব্র্যান্ডিংয়ে ফেরাতে পর্যটন দফতরের উদ্যোগে বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যালের সূচনা।শুরু হল চতুর্থ বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যাল। রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগের উদ্যোগে হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট আয়োজনে লাটাগুড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যাল। মোট তিনটি ভাগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কার্নিভ্যাল। শুক্রবার সকালে ক্রান্তি মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। লাটাগুড়িতে প্রদীপ প্রজ্বলন করে দিনভর স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। চতুর্থ বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যালের মুখ্য উদ্দেশ্য কৃষ্টি ও সৃংস্কৃতি। শনিবার কালিম্পং জেলার ঝালং এবং রবিবার দার্জিলিং জেলার মিরিকে কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলার হিমালয়কে পর্যটনমুখী করাই মুখ্য উদ্দেশ্য। তাকে কেন্দ্র করেই একাধিক পরিকল্পনা রাজ্য পর্যটন বিভাগ সহ পর্যটনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থাগুলোর। নেওয়া হচ্ছে একের পর এক পরিকল্পনা। সহায়তায় এগিয়ে আসছে রাজ্য পর্যটন দফতর।এছাড়াও বিভিন্ন সময় পাহাড় সহ তরাই ডুয়ার্সে পর্যটকদের একাধিক অভাব অভিযোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেগুলো বেশ প্রভাব ফেলেছে পর্যটকদের উপর বলে মনে করছে বিভিন্ন সংস্থা। কাজেই বাংলার পাহাড় সহ তরাই ডুয়ার্সকে পুনরায় পর্যটনমুখী করতে কার্নিভ্যাল। স্থানীয় সংস্কৃতি সহ খাদ্যাভ্যাস সবটাই তুলে ধরা হয়েছে কার্নিভ্যালে।এই বিষয়ে রাজ্যের পর্যটন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যের পর্যটন দফতরের উদ্যোগে এই কার্নিভ্যাল। করোনার সময় কালে যখন পর্যটন ব্যাবস্থায় আঘাত আসে সেই সময় থেকে বিভিন্ন সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এই কার্নিভ্যালের শুরু। এবার চতুর্থ বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যাল। পশ্চিম্বঙ্গ সরকারের হোমস্টে ট্যুরিজম পলিসি সহ গাইড ট্রেনিং এন্ড সার্টিফিকেশন রয়েছে’।তিনি আরও বলেন, ‘স্টেক হোল্ডারদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এবং তাদের সার্টিফিকেশন একই ভাবে চলছে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এ বছর আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে এই প্রকল্পগুলোর আওতায় আনা হচ্ছে। উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে ড্রাইভার, গাইড, হোমস্টে মালিকদের ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেশন করানো হচ্ছে যাতে পর্যটকদের আরও সুষ্ঠ পরিষেবা প্রদান করা যায়’।অন্যদিকে আয়োজক সংস্থা হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল জানান, ‘এই বছর আমরা তিনটে ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন সিলেক্ট করেছি। লাটাগুড়ি, ঝালং ও মিরিক। পর্যটকদের কাছে সব সময়ের পছন্দের জায়গা হলেও ইদানীং কালে দেখা যাচ্ছে পর্যটকদের কাছে এই জায়গাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এই জায়গাগুলোতে কী করে পর্যটক বাড়ানো যায় সেটাই চেষ্টা করা হচ্ছে’।তিনি আরও বলেন, ‘গুরুত্ব বাড়াতে কাজে লাগানো হচ্ছে এখনকার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে। বাংলায় যে আমাদের হিমালয় রয়েছে সেটাকে কিভাবে প্রজেক্ট করা যায় সেটাই ভাবা হচ্ছে। কারন মানুষ হিমালয় বললে ভাবে হিমাচল বা সিকিম। কিন্তু বাংলারও একটা হিমালয় আছে’। শেষে তিনি বলেন, ‘সেটা কোথাও গুরুত্ব কম পাচ্ছে। সেটাকে ব্যান্ডিংয়ে ফেরানোর জন্যই এই বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যাল। নান ধরনের ইস্যু উঠে আসে বিভিন্ন সময়ে। সেগুলো নিয়ে পর্যটন দফতরের সঙ্গে কাজ চলছে। দফতরও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে আসছে’।