• 'পার্থ-কেষ্টকে পারেনি, শাহজাহান কে! জেলের ভাত অনেকদিন খেতে হবে'
    ২৪ ঘন্টা | ০১ মার্চ ২০২৪
  • ই গোপী: দাঁতনে সাত সকালে চা চক্রে যোগ দিয়ে শেখ শাহজাহানকে সসপেন্ড করা নিয়ে সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, যতক্ষণ না চোর ধরা পড়ে সে নেতা থাকে ভালো লোক। মুখ্যমন্ত্রীও তখন সার্টিফিকেট দিচ্ছেন যেই পুলিস ধরল তিনি সাসপেন্ড হয়ে গেল। চোরেদেরকে কাঁধে তুলে রাখবে চোর ধরা পড়ে গেলে সাসপেন্ড করে দেবে। যখন পুলিস ধরবে পাবলিক পেটাবে তখন সবকটাকে সাসপেন্ড করবে পার্টি।

    এমনকী সিআইডি হেফাজত নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখন চলবে। জেলের ভাত অনেকদিন খেতে হবে কারণ কথা দিয়েছে। এরকম করতে হবে না হলে বদনাম হয়ে যাবে দলের তাকে কথা দিয়েছে বার করে নিয়ে আসব। পার্থ বাবু, কেষ্ট বাবুকে বার করতে পারেনি শাহজাহানকে করবে! আইনি জটিলতা নিয়ে চিফ জাস্টিসের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, টিএমসি অনেক মিথ্যা কথা বলেছে অনেক বাহানা দিয়েছে যাতে ওকে বাঁচানো যায়। মিডিয়ার চাপ, মানুষের চাপ, বিজেপির চাপে তাকে বাঁচাতে পারিনি। মুখ রক্ষার জন্য ভালো করে স্তোত্র বাক্য দিয়ে অ্যারেস্ট করেছে।পুলিসের জামিনের বিরোধিতা নিয়ে বলেন, সবাই জানে কোথায় আছে কি করছে সন্দেশখালীর মহিলারা বলছেন ধরে দেব অথচ পুলিস দেখতে পাচ্ছিল না। সন্দেশখালি মহিলাদের অকাল হোলি করে পালন প্রসঙ্গে বলেন, শাহজাহানের অত্যাচার বহু বছর ধরে চলছিল কাউকে ছাড়েনি, সবরকমভাবে লোককে, লুট করেছে বঞ্চিত করেছে। মানুষ খুশি হয়েছে তাকে অ্যারেস্ট করাতে। ৫৫ দিন ধরে আন্দোলন করেছে মহিলারা ওখানে। ওর চেলা চামুন্ডা সবকটাকে অ্যারেস্ট করতে হবে। তাঁদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে কারণ এরা গরিব মানুষের সম্পত্তি লুট করেছে।কৌস্তুভ বাগচীর যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, লাভ ক্ষতি নেই, অনেকেই আসে নির্বাচন এলে বিভিন্ন কারণে আসেন পার্টিতে। বিজেপি নেয় সবাইকে যে ঠিক ঠাক আছে। উৎসাহিত হয়ে আসেন বিজেপির সঙ্গে কাজ করেন তাকে আমরা জায়গা দেব। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমবাংলায় কেন্দ্র বাহিনী না এলে ভোটই হয় না। পঞ্চায়েত ভোটে দেখলেন আপনারা কেমন লুটপাট করে নিল, গণনার সময় লুট করে নিল। সেই মত পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র জায়গা যেখানে প্রথম থেকেই আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী ডিমান্ড করি। সব থেকে বেশি বাহিনী আসছে।তিনি আরও বলেন, ভোটারদের ভয় দেখানো হবে,গুলি বন্ধুক চলবে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সেন্ট্রাল বাহিনী চাই। সাংবাদিকদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, শাহজাহানের ঘটনা নিয়ে মিডিয়া এত অ্যাকটিভ হয়েছে আরও সমস্ত তথ্য বেরিয়ে আসছে। যারা মুখ খুলত না, তাদের কথাকে সামনে পৌঁছে দিচ্ছে এতে টিএমসি ভয় পাচ্ছে। মিডিয়াকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করছে। মিডিয়াও বুঝে গেছে, যা চলছে পশ্চিমবাংলায় এটা যদি তারা মানুষকে না দেখায় তাহলে তাদের মানুষ ক্ষমা করবে না।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)