জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাংগঠনিক বৈঠকে ডাক না পেয়ে অভিমানী কুণাল? তৃণমূলের মুখপাত্র, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন না নেতা। দলে আছি পদে নেই। এক্সে তোপ, বায়ো বদলের মধ্যেই জানালেন মমতা-অভিষেককে। ছেড়েছেন সরকারি নিরাপত্তাও। খবর সূত্রের। সকালেই এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল মুখপাত্রের তকমা বদলে জোরাল জল্পনা। হঠাতই দলের নাম সরিয়ে শুধুই সাংবাদিক, সমাজকর্মীর পরিচয় কেন?
তবে কি ঘাসফুলের রাজ্য সম্পাদক পদে আর থাকতে চান না নেতা? গুঞ্জন জড়ো হয় জোড়াফুলের অন্দরেই। গতরাতেই পোস্টে সুর চড়ান কুণাল। নাম না করে উত্তর কলকাতার তৃণমূল নেতাকে টার্গেট কুণালের। নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর, সারা বছর ছ্যাঁচড়ামি করবে। ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, কর্মীদের আবেগে জিতে যাবে। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না। পোস্ট কুণাল ঘোষের। শুক্রবার সকালে হঠাৎই বদলে যায় কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে তৃণমূলের নাম মুছে যায়। এরপরেই সেখানে দেখা যায় নতুন বায়ো। বায়োতে তাঁর পরিচয় হিসেবে লেখা হয় তিনি একজন ‘সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী’। এরপরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, 'নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক এবং দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।'সূত্রের খবর, নাম না উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছে কুণাল ঘোষ। ঘটনাচক্রে, কুণাল ঘোষ যখন এই মন্তব্য করেছেন, তার কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কলকাতায় বৈঠক করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ওই বৈঠকে কুণাল ঘোষকে দেখা যায়নি।