‘বাংলায় এসে ছলনা কেন?’ মোদীর বঙ্গ সফর নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
এই সময় | ০১ মার্চ ২০২৪
লোকসভার দামামা বাজাতে শুক্রবার থেকে দু’দিনের বঙ্গ সফরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি রাজনৈতিক সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কটাক্ষ করে জোর প্রচার শুরু তৃণমূল কংগ্রেসের। বিশেষত, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বন্ধের প্রশ্ন তুলে খোঁচা তৃণমূল কংগ্রেসের।
তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে এদিন লেখা হয়, ‘নরেন্দ্র মোদীর মিথ্যা বলার একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আছে! বাংলায় পূর্ববর্তী নির্বাচনে একাধিক সফরে এসে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি করে গিয়েছেন তিনি, যার কোনটিই দিনের আলো দেখেনি। এবার হুগলি জেলার আরামবাগ কেন্দ্র এবং সমগ্র বাংলার জনগণের প্রতি আপনার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতিগুলির কী হল? প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে।
ইতিমধ্যে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ‘#AayeHoTohBataKeJao’ নামে একটি প্রচার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মার্চ মাসের শুরু থেকেই বাংলায় প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। প্রচারের শুরুতেই বাংলায় নিজে এসে সভা করতে শুরু করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই সফরকে কটাক্ষ করে প্রচার করছে তৃণমূল। বাংলা কেন কেন্দ্রীয় আর্থিক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে সেই কথাই তুলে ধরা হচ্ছে তাঁদের প্রচার বার্তায়।
শুক্রবার থেকেই রাজ্যে প্রচার পর্ব শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, এর আগেও তো মোদী অনেককবার বাংলায় এসেছেন। বাংলার মানুষের কাছে একাধিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন, সেগুলি কি পূরণ করা হয়েছে আদৌ হয়েছে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। মোদীর সভার বক্তৃতা নিয়ে তৃণমূল এদিন জানায়, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই স্বীকার করে নিলেন, বিজেপিকে সমর্থনের খেসারত দিতে হচ্ছে গরিব ও মধ্যবিত্তকে। কেবলমাত্র সস্তা রাজনীতির জন্যই যে ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার মতো বাংলার গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির বরাদ্দ আটকে রাখা হয়েছে, মোদীজির এই স্বীকারোক্তিই তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।’
উল্লেখ্য, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেড জনসভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হবে সেদিনের মঞ্চ থেকে। কার্যত, ব্রিগেড থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস জোর কদমে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দেবে বলেই খবর। তবে তার আগেই অবশ্য রাজ্যে প্রচারের দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকল বিজেপি নেতৃত্ব। মোদীর জনসভা দিয়ে শুরু সেই প্রচারের কর্মকাণ্ড। তার আগে বিজেপি এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ ব্যর্থ এই বার্তা তুলে ধরতেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই প্রচার কৌশল নেওয়া হয়েছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।