মিরাকল! পর পর দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরও জীবিত রোগী
এই সময় | ০১ মার্চ ২০২৪
কথায় বলে রাখে হরি মারে কে। আর এটা প্রযোজ্য বেন উইলসন নামে এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে। ২০২৩ সালের জুন মাসে ৫০ বছর বয়সে পরপর দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল তাঁর। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হৃদস্পন্দন। তার পরেও অলৌকিকভাবে জ্ঞান ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন বেন।
পরপর দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও জ্ঞান ফিরে পাওয়ার অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বেন উইলসন নামে ওই ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, ৫০ মিনিটের ব্যবধানে পরপর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল তাঁর। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হৃদস্পন্দন। এরপর তাঁকে বাঁচাতে ১৭ বার ডিফিব্রিলেটর ব্যবহার করতে হয়েছিল। পরে জ্ঞান ফিরে পেয়েছিলেন তিনি।বেন আরও জানিয়েছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর তাঁর বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই অবস্থা থেকে রোগী বেঁচে গেলে সারাজীবন গুরুতর সমস্যা মুখোমুখি হতে হবে বলেও পরিবারকে জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চিকিৎসকদের ভবিষ্যৎবাণীকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি বহাল তবিয়তে জীবনযাপন করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
পরপর দু’বার কার্ডিয়ার অ্যারেস্টে হৃদস্পন্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও জীবন ফিরে পাওয়ার আসল রসায়নও জানিয়েছেন বেন উইলসন। এর পিছনে তাঁর মানসিক দৃঢ়তা প্রধান কারণ বলে মনে করছেন তিনি।বেন জানিয়েছেন, পাঁচ সপ্তাহ কোমায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর ধীরে ধীরে হাঁটাচলা এবং কথা বলার ক্ষমতা ফিরে পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে শারীরিক কিছু ছোটখাটো সমস্যা তৈরি হলেও, বর্তমানে তা তিনি কাটিয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন পঞ্চাশের বেশি বয়সী ওই ব্যক্তি। বেন পেশায় একজন ট্রাফিক ম্যানেজার।
অলৌকিকভাবে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে স্বামীর বেঁচে ওঠা নিয়ে আরেকটি পোস্ট করেছেন উইলসনের স্ত্রী রেবেকা। তিনি লিখেছেন, ৪০ মিনিটের মধ্যে মোট ১১ বার ডিফিব্রিলেটর ব্যবহার করার পর বেনের হৃদযন্ত্র সচল হয়েছিল।সেই সঙ্গে শেয়ার করেছেন বেনে কোমায় থাকা দিনগুলির কথা। সেই সময় সবসময় তিনি স্বামীর পাশে ছিলেন বলে জানিয়েছেন রেবেকা। স্বামীর জ্ঞান ফেরাতে সবসময় গান গাইতেন। তাঁর ভালোবাসার টানে বেন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন বলে মনে করছেন তিনি।