১০০ টাকা দামের একটি ঘড়ি চুরির অভিযোগ উঠেছিল এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। শাস্তি হিসেবে বেধরক মারধর করা হল তাঁকে। শুধু শিক্ষকরা নন, সমবয়সী পড়ুয়াদের শারীরিক হেনস্থার শিকার হয়েছে সে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের একটি মাদ্রাসায়। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ১৬ বছর বয়সী ওই পড়ুয়া গুজরাটের সুরাটের বাসিন্দা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি শম্ভাজী শহরের জামিয়া বুরহানুল উলম মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিল সে। কয়েকদিন আগে স্থানীয় একটি ঘড়ির দোকান থেকে একটি ১০০ টাকা মূল্যের ঘড়ি চুরির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। দোকানের সিসিটিভিতে চুরির ঘটনায় পড়ুয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় বলে দাবি।এরপর সুরাটের বাসিন্দা ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় দোকানের মালিকের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে পুলিশ পড়ুয়ার কাছ থেকে চুরি যাওয়া ঘড়িটি উদ্ধার করে বলে জানা গিয়েছে। চুরির শাস্তি হিসেবে এরপর পড়ুয়ার উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। আর শারীরিক নির্যাতনের নির্দেশ দিয়েছিলেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ওমর আলি। কিশোরকে অর্ধনগ্ন করে বেধরক মারধরের পাশাপাশি গায়ে থুথু ছেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু পড়ুয়ার সহপাঠীরা নয়, মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকরাও মারধর করে বলে খবর।
ঘড়ি চুরির অভিযোগে বেধরক মারধরের খবর ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে পৌঁছায়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহারাষ্ট্রের পুলিশ। ছাত্র সুরক্ষা আইনে করা হয়েছে একটি মামলা রুজু। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত অন্য পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বছর জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি এলাকায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে জিনিষপত্র চুরির অভিযোগ উঠেছিল। এরপর গ্রামবাসীরা ওই শিক্ষককে ধরে বেধরক মারধর করে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে গ্রামবাসীদের হাত থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেছিল। মারধরে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছিল সাগরদিঘি থানার পুলিশ।
মাদ্রাসা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ওই শিক্ষক এবং আরও একজনকে গাড়ি নিয়ে মাদ্রাসায় ঢুকতে দেখেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে সন্দেহ হয় তাঁদের। মাদ্রাসা থেকে বই-খাতা চুরি করে গাড়িতে তোলার সময় শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। অন্যজন পালিয়ে গিয়েছিল।