লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ সফরে প্রাক ভোট কী কী 'ইস্যু' নরেন্দ্র মোদী তুলে ধরবেন? সেই দিকেই তাকিয়ে ছিল বঙ্গ রাজনৈতিক মহল। শুরুটা সন্দেশখালি দিয়ে করেছিলেন মোদী। এরপরেই তিনি 'দুর্নীতি' প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। মহিলা, যুবকদের জন্যও বিশেষ বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আরামবাগের সভা থেকে ‘মোদীর গ্যারান্টি’ ভেসে এল।
এদিন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে পুর নিয়োগে দুর্নীতি প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদী বলেন, ‘এত নোট কখনও দেখেছেন সিনেমাতে দেখেছেন।’তিনি আরও বলেন, ‘ মোদীর গ্যারেন্টি! লুঠনে ওয়ালোকো লটানা পড়েগা (যাঁরা লুঠ করেছেন তাঁদের ফেরত দিতে হবে)। মোদী ছোড়নে ওয়ালা নেহি হ্যায় (মোদী কাউকে ছাড়বে না। আমি থামব না। পশ্চিম বাংলার বোন, গরিব, যুবকদের গ্যারেন্টি দিয়েছি।
যে গরিবকে লুঠ করেছে তাকে ফেরত দিতেই হবে।’এদিন ইন্ডিয়া জোটকে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'পটনা, বেঙ্গালুরু তাঁরা বৈঠক করেছেন। কংগ্রেস এখানের মুখ্যমন্ত্রীর থেকে জবাব চাইতে সাহস পায়নি। কংগ্রেস যা বলেছে তা শুনলে চমকে যাবেন। কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, বাংলাতে এই সমস্তকিছু চলতেই থাকে।'
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষক থেকে শুরু করে পুর নিয়োগ-সমস্ত জায়গাতে দুর্নীতি করা হয়েছে।' লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে এসে ভোটের আগে সুর বেঁধে দেবেন প্রধানমন্ত্রী মনে করা হচ্ছিল এমনটাই। সেই মোতাবেক তিনি বাংলায় এসে একের পর এক উল্লেখযোগ্য বার্তা দিলেন। পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারী জানান, ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে নজর ঘোরালে দেখা যাবে, বাংলা ১৮টি আসনে জয়লাভ করে BJP। এবার একলাফে সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির, তা স্পষ্ট। এদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নরেন্দ্র মোদীও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, '৪ বছরে ১১ কোটির বেশি নতুন বাড়িতে জল সংযোগ পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু, প্রতি বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার সঠিক গতিতে কাজ করছে না। কেন্দ্র টাকা দিলেও রাজ্য কাজ করছে না। গরিবদের ভালোর জন্য কাজ করা হচ্ছে না।' আয়ুষ্মান কার্ডে দেশে কোটি কোটি পরিবারের বিনামূল্যে চিকিৎসা হচ্ছে। কিন্তু, বাংলাতে সেই সুবিধা পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি করেন মোদী।