Lok Sabha Election 2024: রাম মন্দির উদ্বোধন 'বয়কট'! লোকসভা নির্বাচনে 'পস্তাতে হবে' কংগ্রেসকে?
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
রাম মন্দির উদ্বোধনের অনেক আগে থেকেই কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা তোলার জন্যই রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই বিষয়টি সামনে রেখেই ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের অন্দরে একটা প্রশ্ন, অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠান থেকে দূরত্ব বজায় রেখে কংগ্রেস কী বড় ভুল করেছে? দলের মধ্যে ক্রমাগত নেতাদের ক্ষোভ, মত পার্থক্যকের ফলে এই প্রশ্ম মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সূত্রের খবর, রাম মন্দির উদ্বোধনে দূরে সরিয়ে রাখার বিষয়টিতে অনেক নেতাই সহমত ছিলেন না বলে শোনা গিয়েছে।সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে হিমাচলের কথা উল্লেখ করতে হয়। রাজ্যসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি রাজ্যের কথা না বললেই নয়। সেখানে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও রাজ্যসভার হিমাচল আসনে হেরে গিয়েছে কংগ্রেস। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও হিমাচলের রাজ্যসভা আসনে হেরে গিয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। অন্যদিকে, বিজেপির হর্ষ মহাজন এই ভোটে জিতে গিয়েছেন। দলের ছয়জন বিধায়ক কংগ্রেস শিবির ছাড়ার ঘোষণা করেছেন। একাংশ রাজনৈতিক মহলের মত, হিমাচল সরকারে এই সংকটের অন্য়তম কারণ রাম মন্দির নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান। এটিই কিন্তু প্রথম ঘটনা নয়, দলের প্রবীণ নেতা প্রমোদ কৃষ্ণমও এই ইস্যুতে বিদ্রোহ করেছিলেন। পরে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কংগ্রেস হাইকমান্ডের রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্তে যে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছে যার সুদূরপ্রসারী পরিণতি হতে পারে। এই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে পুঁজি করে বিজেপিও প্রস্তুতি নিচ্ছে। অমেঠি-রায়বরেলির আসনকে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। দু'টি আসনের নির্বাচনই গান্ধী পরিবার এবং কংগ্রেস দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বর্তমানে চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। হিমাচল প্রদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মেঠি এবং রায়বেরেলিতেও দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। সিমলা থেকে আমেঠি এবং রায়বেরেলির দূরত্ব ১০০০ কিলোমিটারেরও বেশি, তবে সেখানকার ঝড় শীঘ্রই উত্তর প্রদেশের গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।অমেঠি এবং রায়বরেলি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, কারণ দু'টি আসনই উত্তর প্রদেশের। রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অমেঠি আসনে হেরে যান। প্রবীণ বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হন তিনি। রায়বরেলির কথা বললে, সোনিয়া গান্ধী এখান থেকে এখনও পর্যন্ত সাংসদ। তবে এবার তিনি রাজ্যসভায় গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে আলোচনা চলছে। তবে, এই রাজ্যে হাওয়া দেখে একাংশ রাজনৈতিক মহলের মত, রাম মন্দির ইস্যুতে কংগ্রেস নেতৃত্বের অবস্থানের প্রভাব আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দেখতে পাবে হাত শিবির।