• Supreme Court: 'এমপি-এমএলএ-র কাঁধে চিপ বসাব?'
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
  • তা আপনি কি চাইছেন, আমরা দেশের সব সাংসদ-বিধায়কদের কাঁধে একটা করে মাইক্রো-চিপ লাগিয়ে দেব? প্রশ্নকর্তা দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। উত্তর দিচ্ছেন মামলাকারী সুরিন্দরনাথ কুন্দ্রার আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি-এমএলএ-রা নিজেদের একেক জন শাসক মনে করেন, জনপ্রতিনিধি নন। তাই তাঁদের উপর সিসিটিভি দিয়ে নজরদারি করার প্রয়োজন রয়েছে!’ যুক্তি শুনে থ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।বাকি দু’জন বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা। সিজেআই বলেন, ‘আমি নিজেকে সংযত রাখছি আপনাকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করা থেকে। কিন্তু এই মামলা যদি আপনি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তা হলে এটা করতে আমরা বাধ্য হব।’ বেঞ্চ জানায়, এটা কোনও বিচারপতির ব্যক্তিগত ইগোর বিষয় নয়। এই মামলাটা করা যায় না। এতে আদালতের সময় নষ্ট হচ্ছে। এর পরেই এই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। তার আগে অবশ্য মামলাকারীর আবেদন অনুযায়ী ১৫ মিনিটে তাঁর মামলা ব্যাখ্যা করার সময় দেয় শীর্ষ আদালত।সুরিন্দর নামে এক ব্যক্তি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে ২৪ ঘণ্টা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর সিসিটিভি দিয়ে নজরদারি করা হোক। সেই ফুটেজ যেন প্রতিটি নাগরিক তাঁর ফোনে দেখতে পান! এমন কথা শুনেই সুপ্রিম কোর্ট বলে, একমাত্র দাগি আসামিদের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বুঝে এমন কাজ করা যেতে পারে, আর কারও ক্ষেত্রেই নয়।সিজেআই বলেন, ‘আপনি জানেন, আপনি কী দাবি করছেন? তা ছাড়া সাংসদ-বিধায়কদের তো পারিবারিক জীবন রয়েছে। গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে। তাতে কী ভাবে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে?’ প্রত্যুত্তরে ডিফেন্স কাউন্সেল বলেন, ‘তাঁরা যদি এত স্পর্শকাতর হন, তা হলে তো তাঁদের এই পেশায় (রাজনীতি) আসাই উচিত নয়!’ এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট কড়া ভাবে জানিয়ে দেয়, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের মামলা আর করা না হয়।
  • Link to this news (এই সময়)