শুক্রবারই বেঙ্গালুরুর বিখ্য়াত রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটে। আহত হয়েছেন ৯জন। প্রকাশ্যে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজ। রামেশ্বরম ক্যাফের বিস্ফোরণের ঘটনার নেপথ্যে হাত ছিল বছর তিরিশের এক যুবকের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে তাঁকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কর্নাটের হোয়াইটফিল্ড এলাকায় ওই ক্যাফেতে ওই যুবক একটি ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করলেন প্রথমে। পুলিশের দাবি, ক্যাফে ছাড়ার আগে ব্যাগটি ক্যাফের মধ্য়েই ফেলে রেখে যান তিনি। সন্দেহজনক ব্যক্তির সঙ্গে ছিলেন আরও ব্যক্তি। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।সন্দেহজনক যুবকের মুখ ঢাকা ছিলম মাস্ক, চশমায়। মাথায় ছিল টুপি। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে ক্যাফেতে ঢুকে টাকা দিয়ে তিনি রাভা ইডলির কুপন কাটেন। কিন্তু না খেয়েই চলে যান। যাওয়ার সময় রেখে যান হাতের ব্যাগ। সূত্রের খবর, সেই ব্যাগ থেকেই বিস্ফোরণ হয় বলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানতে পারে পুলিশ। ওই যুবক ক্যাফের ভিতর ব্যাগ রেখে গিয়েছিলেন ক্যাশ কাউন্টারে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ক্যাশিয়ারকেও। রামেশ্বরম ক্যাফের বিস্ফোরণের মুহূর্তের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্য়ে এসেছে। তবে ভিডিয়োর সত্য়তা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।শুক্রবার দুপুরে কেঁপে ওঠে কুন্দালাহাল্লি এলাকার রামেশ্বরম ক্যাফে। বোমা বিস্ফোরণে অন্তত আহত হন ১০ জন। খোদ কর্নাটকের মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিশ্চিত করেছেন, বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল IED। রাজ্যের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই যুবক বাসে করে এসেছিলেন ক্যাফেতে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানার চেষ্টা করছেন সন্দেহজনক ব্যক্তি কোথা থেকে কোন বাসে উঠেছিলেন। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত টাইমার ডিভাইস উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি একটি ঘড়ি নয় বরং একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক টাইমার ডিভাইস। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, বিস্ফোরণে আরডিএক্স-এর মতো উচ্চ-গ্রেডের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার পরই জানা যাবে সেটি আসলে কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল।উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট ও ১টার মধ্যে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রাথমিক ভাবে সিলিন্ডার ফেটে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তবে তদন্তের পর দেখা যায়, এটা পূর্বপরিকল্পিত আইইডি বিস্ফোরণ। সেই বিষয়টি পরবর্তীতে নিশ্চিত করেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজে। এই আবহে ইউএপিএ এবং বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জোর কদমে তদন্ত শুরু হয়েছে।