শাহজাহানের পিছনে হাঁটছিলেন, বসিরহাটের সেই আইসি-র বদলিতে চাঞ্চল্য
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
গ্রেফতার করার পর শেখ শাহাজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় বহিরহাট আদালতে। সেখানে তাঁর 'বডি ল্যাঙ্গুয়েজ' দেখে কার্যত স্থম্ভিত হয়ে যায় বিভিন্নমহল। আদালতে তাঁকে সাতা কুর্তা পাজামা, হাফ জ্য়াকেট ও স্নিকার পরে হাঁটতে দেখা যায়। তাঁর সামান্য পিছনে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের। সংবাদমাধ্যম শাহজাহানকে প্রশ্ন করলে, আঙুল নেড়ে ইশারায় বুঝিয়ে দেন, তিনি কিছু বলবেন না। শাহজাহানের এহেন শরীরী ভাষা এককথায় চমকে দিয়েছিল উপস্থিত জনতাকে।আদালতে যখন শেখ শাহজাহানকে তোলা হচ্ছে, তখন তাঁকে সবার আগে হাঁটতে দেখা যায়। দেখা যায় কেউ তাঁকে ধরে নেই, গটগট করে হেঁটে চলেছেন তিনি। আর তাঁর সামান্য পিছনে হাঁটতে দেখা যায় পুলিশকে। শাহজাহানের পিছনে ছিলেন বসিরহাট থানার আইসি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেখা যায় তিনি বা অন্য কেউ ধরে নেই শাহাজাহানকে। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্নমহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
এবার সেই আইসি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর জায়গায় বসিরহাট থানায় আসছেন রক্তিম চট্টোপাধ্যায়। তিনিই বসিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের দায়িত্বে আসছেন বলে জানা যাচ্ছে। আদালতে শাহজাহানের এহেন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং তাঁকে কেউ ধরে না রাখার ছবি সামনে আসার পরেই কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্নমহলে। সেই ঘটনার সঙ্গে এই বদলির কোনও যোগ রয়েছে কি না, এমনটাও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, এটা রুটিন বদলি, এর সঙ্গে শাহাজাহানের ঘটনার কোন যোগসূত্র নেই। যদিও পুলিশ এই দাবি করলেও বদলি নিয়ে প্রশ্ন বন্ধ হয়নি। উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বসিরহাটের আইসির দায়িত্ব নেন কাজল।
প্রসঙ্গত, ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলার ৫৬ দিনের মাথায় মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট আদালতে। সেখানেই আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে এই মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিআইডি-র হাতে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন গ্রামবাসীরাও। সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা'র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন এলাকার মহিলারা। জোর করে জমি দখল, তাতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি তৈরি করা, ভয় দেখান, এমনকী অত্যচারের অভিযোগও তোলেন তাঁরা। শুধু শাহজাহান নয়, তাঁর ভাই সিরাজ, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা, অজিত মাইতিদের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের।