দলে সাসপেন্ড আগেই, জেলা পরিষদের পদ থেকেও ছাঁটাই শাহজাহান
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
দল থেকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার গেল জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হল শেখ শাহজাহানকে। তাঁর ঘরের সামনে থেকে খুলে ফেলা হল নামের ফলক। গত বৃহস্পতিবারই সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানকে। জেলা পরিষদের ঘর থেকে খুলে নেওয়া হল নেমপ্লেট। উত্তর ২৪পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানান, তাঁর কুকর্মের জন্য দল যখন তাঁকে বহিষ্কার করেছে, সেক্ষেত্রে জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকেও তাঁকে বহিষ্কার করা হল। সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী আরও জানান, স্বাভাবিকভাবেই অনেকদিন ধরে জেলা পরিষদের তার দফতরের যে সমস্ত কাজ রয়েছে, সেই পরিষেবা মানুষ পাচ্ছিল না। সে কারণেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং গোটা প্রক্রিয়াটাই জেলা পরিষদের আইন মোতাবেক হয়েছে বলেও জানান তিনি ।
PM Modi on Sandeshkhali Incident : 'সব চোটের জবাব ভোটে দিতে হবে' তৃণমূলকে কটাক্ষ মোদীর
যদিও বিরোধীরা এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে শাসক দলকে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, জেলা পরিষদের পথ থেকে সরাতে গেলে যে আইন সে প্রক্রিয়ার মত সরানো হয়েছে কিনা বলে মনে হয় না, কিন্তু অস্বস্তি কাটাতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, ‘ভোট বৈতরণী পার ও নিজেদের স্বচ্ছ প্রকাশ করতেই লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্যাকফুটে থাকা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস শেখ শহাজাহানকে পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে।’
সন্দেশখালিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। প্রায় ৫৫ দিন পর তাকে মিনাখা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের নানা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সন্দেশখালি এলাকায় একাধিক জায়গায় জমি দখল, জমির পাট্টা না দেওয়া, অবৈধ ভেড়ি নির্মাণ সহ একাধিক অভিযোগ জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা সন্দেশখালি। এলাকাবাসীর একাংশ বারবার দাবি করতে থাকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার বিষয়ে। হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।