'৪২টাই চাই!' ইয়ার এন্ডের মাসে টার্গেট বাড়ালেন মোদী
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
বাংলায় ৩৫টি আসনের টার্গেট বেধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সেই টার্গেটকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে তিনি জানিয়ে দিলেন, বাংলায় ৪২টির মধ্যে ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে। সব আসনে জয়ের ব্যাপারে বিজেপি কর্মীদের লড়াই করতে হবে বলে বার্তা মোদীর। লোকসভায় ৪০০ পার করার জন্য নতুন টার্গেট দিলেন প্রধানমন্ত্রী।আগামী লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশ থেকে ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি এবং বিজেপি সমর্থিত দলগুলির জোট। এর মধ্যে বিজেপি একাই ৩৭০টি আসনের টার্গেট পূরণ বদ্ধপরিকর। এর মধ্যে বাংলা থেকে বেশিরভাগ আসন জেতার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। তবে, বাংলার ৪২টি আসন থেকে মোট ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা আগেই নেওয়া হয়েছিল। সেই টার্গেট একলাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
বাংলায় ভাষণ, তৃণমূলকে কটাক্ষ, কৃষ্ণনগরের সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী
মোদী এদিন সভা থেকে জানান, যেভাবে রাজ্য সরকার চলছে, বাংলাকে নিরাশা করে দিয়েছে। এই সরকার বারবার এত সমর্থন পেলেও তাঁরা অত্যাচার এবং বিশ্বাসঘাতকের দ্বিতীয় নাম হয়ে গিয়েছে। বাংলার উন্নয়ন নয়, শাসক দলের কাছে পরিবারতন্ত্র এবং দুর্নীতি অগ্রাধিকার পেয়েছে। তৃণমূল বাংলার লোককে গরীব বানিয়ে রাখতে চায়, যাতে ওদের খেলা চালিয়ে যেতে পারে। আরামবাগের সভা থেকেই তিনি রাজ্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি, গোরু পাচার সহ একাধিক দুর্নীতির বিষয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেন মোদী। এদিনও তাঁর অন্তরায় হল না।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির অন্যতম টার্গেট আসন হল কৃষ্ণনগর। এই আসনের বিদায়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্র লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই, কৃষ্ণনগর আসনটি বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। কৃষ্ণনগরের এই সভায় তাই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় ছিল মহুয়া মৈত্র।