• কৃষ্ণনগর আসন উদ্ধারে কি পদ্ম সেনাপতি নমোই?
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়, কৃষ্ণনগর: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হতে পারে যে কোনও দিন। ৪০০-র বেশি আসন পাওয়ার লক্ষ্যে ভোটযুদ্ধে নামা বিজেপি এখনই প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তাদের প্রধান সেনাপতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসে কার্যত নির্বাচনী সভাই করছেন। আরামবাগ হোক বা কৃষ্ণনগর, প্রার্থী কে হবেন তা পরে জানা যাবে। তবে শুক্রবারের সভাতেই প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়েছেন, প্রার্থী যে-ই হোন, গ্যারান্টি থাকবে মোদীর।আজ শনিবার কৃষ্ণনগরে কী বলেন তিনি, নজর সেদিকেই। নির্বাচনী ময়দানে নামার প্রশ্নে অন্তত কৃষ্ণনগরে তৃণমূল একধাপ এগিয়ে আছে বিজেপির থেকে। ঘাটালে যেমন অভিনেতা দেব, তেমনই মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের তালুকে ঘাসফুলের টিকিটে লড়বেন সেই মহুয়া মৈত্র। লোকসভা থেকে বহিষ্কারের পর মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    পয়লা ফেব্রুয়ারি শান্তিপুরের সরকারি পরিষেবা বিতরণের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মহুয়াকে ওরা তাড়িয়ে দিয়েছে। কেন? মহুয়া মানুষের ভোটে জিতবে। আমি বিশ্বাস করি মানুষ ভোট দেবে মহুয়াকে।' এরপর থেকে আরও বেশি উজ্জীবিত হয়ে মহুয়া জনসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে বিজেপি হারলেও জয় পেয়েছিল রানাঘাট কেন্দ্রে। এবার তৃণমূল সেই আসনও ছিনিয়ে নিতে চায়। মমতার কথায়, 'রানাঘাটে আপনারা একজনকে জিতিয়েছিলেন। মা-বোনেরা ভালোভাবে জানেন তিনি কী করে বেড়াচ্ছেন। এবার কিন্তু আপনারা রানাঘাটেও আমাদের সমর্থন দেবেন। প্লিজ দেবেন।'

    বিজেপিও বসে নেই। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে তারা নদিয়াকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। গত রবিবার ভার্চুয়াল মোডে নদিয়ার কল্যাণী এইমস-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণনগর সংলগ্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনেও তিনি ছিলেন সেই ভার্চুয়াল মোডে। আর এ বার সশরীরে আসছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। বিজেপির কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় একসুরে বলেন, 'কৃষ্ণনগরের জনসভায় দেড় লক্ষের বেশি মানুষের সমাবেশ হবে। আমরা এবার কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট, জেলার দু'টি আসনই জিতব।'

    PM Modi Arambagh Rally : 'মোদী ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়!' আরামবাগের সভা থেকে হুঁশিয়ারি মোদীর

    মোদীর সভার দিনই কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। যে সময় বাংলায় বিজেপি ছিল একেবারে প্রান্তিক শক্তি, তখন এই ঐতিহাসিক শহর থেকে জিতে বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন দুঁদে আইনজীবী সত্যব্রত ওরফে জলুবাবু। মোদী ম্যাজিকে কি এ বার হারানো ঘর ফিরে পাবে গেরুয়া শিবির?
  • Link to this news (এই সময়)