প্রদ্যুত্ দাস: 'দলবদলু'দের জলপাইগুড়ি জেলায় ঠাঁই দেবে না বিজেপি। সৌমেন রায়কে নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিজেপির অন্দরে। এদিন সৌমেন রায়কে নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি। সাংবাদিক সম্মেলন করে 'দলবদলু' আখ্যা দিয়ে তোপ দাগলেন খোদ জেলা সভাপতি।সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। তিনি নাকি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চলেছেন। রাজনৈতিক মহলে এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি। জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, "সৌমেন রায়কে আমি চিনি না। ২০২১ সালে যখন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলের অত্যাচারে ঘরছাড়া হলেন, সেইসময় উনি দলবদল করে তৃণমূলে চলে গেলেন। আর এখন বিজেপির সুদিন আসছে, ওমনি উনি বিজেপিতে চলে এলেন। এমন লোকের জলপাইগুড়িতে ঠাঁই নেই।" প্রসঙ্গত জলপাইগুড়ির বর্তমান সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়ের পুনরায় টিকিটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। এই মর্মে তারা আগে বিবৃতিও দিয়েছেন।প্রসঙ্গত, সৌমেন রায় 'ঘর ওয়াপসি'র দিন সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমরা সৌমেনকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদনে ঘর ওয়াপসি করালাম। তিনি আমাদের দলের আদর্শ বা নেতৃত্ব সম্পর্কে নিজে থেকে কোনও খারাপ কথা বলেননি। যেটুকু বলেছেন, চাপে পড়ে বলেছেন।" বিজেপিতে ঘর ওয়াপসির পর সৌমেন রায়ও বলেন, "উত্তর দিনাজপুরের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আমি বিধায়ক ছিলাম ও আছি। পরে আমাকে বিভিন্ন চাপে বাধ্য করেছিল দল বদল করতে। কিন্তু শরীর গেলেও মন ছিল বিজেপিতে। একটা রাজবংশী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল সরকারের বিরুদ্ধে, সেখানে পুলিসের যে অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে রাজবংশী ভাইবোনদের, সেটা লজ্জার।"ওদিকে, রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী সৌমেন রায়ের বিজেপিতে ঘর ওয়াপসি প্রসঙ্গে বলেন, "তৃণমূল যে করা যায় না, সেটা সবাই বোঝেন। উনি বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে পাঁচ বছর বিজেপিতে থেকেই নিজের এলাকার কাজ করবেন, সেটাই কাঙ্খিত ছিল। এবার ফিরে এলেন, স্বাগত জানাই। ভুল করেছিলেন। শুধরে নিয়েছেন। সেটা-ই বড় বিষয়।"