জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শুক্রবার আরামবাগে জনসভার পর, শনিবার কৃষ্ণনগরে মোদী। জনসভা থেকে একের পর এক চোখা চোখা কটাক্ষে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকারকে। তৃণমূল সরকারের সব স্কিম স্ক্যামে পরিণত হয়েছে বলে তুলোধনা করলেন রাজ্য সরকারকে। অনেকেই ভেবেছিলেন কৃষ্ণনগরে এসে মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে মুখ খুলবেন মোদী। কিন্তু বেশ রাজনৈতিক মহলকে বেশ অবাক করে দিয়েই কৃষ্ণনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে মহুয়া প্রশ্নে নীরব রইলেন মোদী। 'মহুয়া-ভূমে' দাঁড়িয়ে মহুয়া প্রশ্নে চুপ-ই থাকলেন মোদী।প্রসঙ্গত, ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন বিতর্কে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে মহুয়া মৈত্রের। যদিও তাতে দমে যাওয়ার পাত্রী নন মহুয়া মৈত্র। সাংসদ পদ খারিজের পরই লোকসভা চত্বরে দাঁড়িয়েই হুঙ্কার দিয়েছেন, 'আমার বয়স ৪৯ বছর, আরও ৩০ বছর লড়াই করব, ফিরে আসব। ২ জন নাগরিকের লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত। আমার বিরুদ্ধে টাকা বা উপহার নেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই।' মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, লোকসভার পোর্টালের নিজের লগ-ইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। তারপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগ-ইন করা হয়। এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে মহুয়াকে সাংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও বিতর্কের জেরে দলে ব্রাত্য হননি মহুয়া মৈত্র। বরং দলে তাঁর 'ওজন'-ই বেড়েছে। নদিয়া- কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। কল্লোল খানকে সরিয়ে তৃণমূলের নদিয়া-কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে তাঁকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, নিজের লড়াই নিজেই লড়ে নেওয়ার ক্ষমতা মহুয়া মৈত্রের রয়েছে। মহুয়ার পাশে দাঁড়ান মমতাও। বলেন, 'দল মহুয়ার সঙ্গে ছিল আছে থাকবে।' এমনকি কৃষ্ণনগর থেকে ফের মানুষের ভোটেই মহুয়া জিতবেন বলেও ঘোষণা করেছেন মমতা। কৃষ্ণনগর থেকে যে ফের মহুয়াকেই প্রার্থী করা হতে চলেছে, সেই বিষয়েও প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত মিলেছে খোদ তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যেই। প্রসঙ্গত, ২০১৯-র লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে জোড়া ফুল প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হন মহুয়া মৈত্র। সাংসদ পদ খারিজের পরও মহুয়া দাবি করেছেন, যতই তাঁকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, কৃষ্ণনগর থেকেই দ্বিগুন মার্জিনে জিতবেন তিনি।