সুদীপ নয় উত্তর কলকাতায় মহিলা মুখের দাবি কুণালের, নজরে কে'
২৪ ঘন্টা | ০২ মার্চ ২০২৪
প্রবীর চক্রবর্তী: দলের বরিষ্ঠ নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কয়েকদিন ধরেই বিস্ফোরক কথাবার্তা বলে চলেছেন কুণাল ঘোষ। কখনও বলেছেন, 'সুদীপদা একটা বড় সাইজের শাহজাহান', কখনও বলেছেন ভুবনেশ্বর অ্যাপোলোতে থাকার সময় হাসপাতালের বিল কে দিয়েছিল তার তদন্ত হোক। তা না হলে আদালতে যাব। এবার এবারে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র নিয়েই টান দিলেন কুণাল।
শনিবার উত্তর কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ডের কর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল করেন কুণাল ঘোষ। সেই মিছিলের শেষ ফের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাকে নিয়ে সরব হন তিনি। কুণাল ঘোষ বলেন, ভোটের সময় জোড়াফুল প্রতীক যার কাছে থাকবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁকে পাঠাবেন তাঁর পক্ষেই কর্মীরা রাস্তায় নামবেন। তার আগে গণতান্ত্রিকভাবে নিজেদের বক্তব্য জানাবার জায়গা আছে। একজন সামান্য কর্মী হিসেবে একটা কথা বলি। উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের আগে নাম ছিল উত্তরপূর্ব কলকাতা। উত্তর কলকাতার ইতিহাস যদি দেখা যায় তাহলে এই কেন্দ্রে কখনও কোনও মহিলা প্রার্থী হয়নি।উত্তর কলকাতার প্রাক্তন সংসদদের নাম ধরে ধরে কুণাল ঘোষ বলেন, ১৯৫২ সালে এখানে জিতেছিলেন মেঘনাদ সাহা, ১৯৫৬ সালে মোহিত মৈত্র, ১৯৫৭-৭১ হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ১৯৭৭ প্রতাপ চন্দ্র চন্দ্র, ১৯৮০ সুনীল মৈত্র, ১৯৮৪ থেকে অজিত কুমার পাঁজা, পরবর্তীকালে মহম্মদ সেলিম সাংসদ হয়েছেন। তারপরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ৭৮ বছর বয়স। গ্রেফতারের আগে কালো চুল, গ্রেফতারের পর সাদা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলা যায় দক্ষিণ কলকাতা মহিলা সাংসদ পেয়েছে। মমতাদি রেকর্ড গড়েছেন, এখন মালা রায় রয়েছেন। এবার উত্তর কলকাতায় একজন মহিলা সাংসদ দেওয়া হোক। সেখানে অজিত পাঁজার পুত্রবধু ডা শশী পাঁজার মতো দক্ষ প্রার্থী রয়েছেন। উনি একদিকে চিকিত্সক, একদিকে মন্ত্রী, একদিকে দক্ষ প্রসাশক। উনি বা ওঁর মতো যে কেউ যিনি কর্মীদের মনের কথা বুঝবেন এমন কোনও মহিলা প্রার্থীকে দেওয়া হোক না! উত্তর কলকাতা কেন মহিলা প্রার্থী পাবে না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবদিকে নারী শক্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাহলে যে উত্তর কলকাতায় কখনও নারী সাংসদ পায়নি। সেখানে একজন মহিলাকে দেওয়া হোক না! একজন কর্মী হিসেবে এটা আমি বলতেই পারি।সুদীপবাবুর অভ্যাস হল রাতে নেতা নেত্রীদের হোওয়াসঅ্যাপ করেন। বড্ড ন্যাগিং করেন, প্যানপ্যান করেন। উনি যদি ফের প্যানপ্যান করেন তাহলে ৭৮ বছরের একটা লোককে মমতাদি দিয়ে দিতেই পারেন। তাহলে আমরা তাঁর হয়েই খাটব। কিন্তু তার আগে আমরা দলের নেতৃত্বের কাছে বললেই পারি একজন মহিলা প্রার্থী দেওয়া হোক। শশী পাঁজা অজিত পাঁজার পুত্রবধু। তাঁর স্মৃতি আছে কর্মীদের মধ্যে। আর নয়নাদি যদি বিউটি পার্লার সামলে প্রার্থী হতে চান তো হোন না! কর্মী হিসেবে দল যদি বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তো তাঁর হয়েই প্রচার করব।