• স্কুলের পাশেই পড়ে শিশুর দেহ, ভরদুপুরে চাঞ্চল্য লেকটাউনে
    এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
  • স্কুলের পাঁচিল সংলগ্ন রাস্তায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে শিশু। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতেই মৃত বলে ঘোষণা চিকিৎসকদের। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের লেকটাউন থানার এলাকায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশস্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে লেকটাউনে একটি স্কুলের পাঁচিলের গায়ে একটি শিশুকে রাস্তার উপর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকার মানুষজন। তাঁরা খবর দেন লেকটাউন থানায়। এরপর লেকটাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। দিনের ব্যস্ত সময়ে কী ভাবে রাস্তার উপর একটি বাচ্চার দেহ পড়ে রইল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্নমহলে। যদিও শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ।

    এই বিষয়ে প্রসেনজিৎ চন্দ্র নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'এখানে একটা বাচ্চা পড়েছিল, কে ফেলে গিয়েছে কেউ দেখেনি। এখানে স্কুল বাসগুলি দাঁড়িয়ে থাকে, বাসের লোকজনই দেখতে পায়। আমরা লেকটাউন থানা ও লেকটাউন ট্রফিক গার্ডকে খবর দিয়েছিলাম, তারা এসে নিয়ে গিয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়বে। গামছা নিয়ে ঢাকা ছিল একটা বাচ্চা, কোনও নড়াচড়া করছিল না। কেউ ফেলে দিয়ে গিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।' এদিকে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবক অভিভাবিকাদের মধ্যেও রীতিমতো শোরগোর পড়ে গিয়েছে। শিশুটিকে কেউ মৃত অবস্থায় ওই জায়গায় ফেলে দিয়ে গিয়েছে, না কি অসুস্থ অবস্থায় ওই জায়গায় পড়ে থেকে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকাবাসীর মনে।

    প্রসঙ্গত, গতবছর লেকটাউনের দক্ষিণ দাঁড়ি এলাকার ২৪ নম্বর রেলগেটের কাছে একটি ডোবায় নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা যায় চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বছর চারেকের ওই শিশু। তারপরই ডোবা থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে লেকটাউন থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে শিশুটির খোঁজ মেলেনি। বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। চারদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার শিশুটির খোঁজ চালায় পুলিশ। পরে ডোবা থেকে উদ্ধার হয় দেহ।
  • Link to this news (এই সময়)