বিশ্বের এই গ্রামে প্রত্যেক বাড়ির দরজা-জানলার রং এক, কেন জানেন?
এই সময় | ০২ মার্চ ২০২৪
বাড়ির দরজা-জানালার রং কী হবে, তা বাড়ির মালিকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে প্রত্যেক বাড়ির দরজা ও জানালার রং এক ধরনের। শুধু তাই-ই নয়। গ্রামটির বাড়িঘর প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। আর তা যৌথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন গ্রামের বাসিন্দারা। ব্রিটেনের রথারহ্যামের কাছে ওয়েন্টওয়ার্থে এমন একটি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।ব্রিটনের গ্রামের প্রত্যেক বাড়ির দরজা ও জানালার রং একরকম
জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের ওয়েন্টওয়ার্থে কাছের গ্রামটিতে গেলে ১৮ শতকের ছায়া ফুটে উঠবে। এখানার বাড়িঘরগুলি পুরানো নক্সায় তৈরি। এই ভবনগুলি দেখার জন্য প্রতি বছর বহু মানুষ ভিড় জমিয়ে থাকেন গ্রামটিতে। পুরনো এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার এবং গ্রামটিকে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ফিটজউইলিয়াম অ্যামেনিটি ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থা বিশেষ নিয়ম চালু করেছে। যা গ্রামের প্রতিটি বাড়ির জন্য প্রযোজ্য। আর এই নিয়মগুলি গ্রামের ১ হাজার ৪০০ বাসিন্দা অনুসরণ করে থাকেন।
নিয়মটি কী?
ফিটজউইলিয়াম অ্যামেনিটি ট্রাস্টের নিয়ম অনুসারে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির দরজার রং হবে একরকম। সবুজ হবে সেই রং। আর ঘরের জানালার ফ্রেমের রং হবে সাদা। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে দরজা ও জানালার রং এক ধরনের হওয়ায়, অন্যান্য গ্রামগুলি থেকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে বলে মনে করে ব্রিটেনের মানুষ।
ওয়েন্টওয়ার্থের কাছে গ্রামটিতে নেই কোনও সুপার মার্কেট। শুধুমাত্র একটি ছোট দোকান রয়েছে গ্রামটিতে। এখান থেকে গ্রামের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কিনে থাকেন। ছোট ও সুন্দর একমাত্র দোকানটিও বহন করছে পুরাতন ঐতিহ্য।
পাব ও রেস্তরাঁ রয়েছে গ্রামটিতে
১৮ শতকের ঐতিহ্যবহণকারী গ্রামটিতে সুপার মার্কেট না থাকলেও, আছে দুটি পাব এবং একটি রেস্তরাঁ। এখানে লাইভ ইভেন্টগুলি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এখানে একটি রয়েছে উড হাউস। ব্রিটেনের গ্রেড ওয়ান তালিকাভুক্ত বাড়িগুলির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে এটি। এই উড হাউসের ভিতরে রয়েছে বড় বড় রুম। রয়েছে একটি বিশাল বাগান।
মহারাষ্ট্রে দরজাহীন গ্রাম ঘরের নিরাপত্তা বজায় রাখতে দরজার বিকল্প নেই। জানলে অবাক হবে সকলে, মহারাষ্ট্রে এমন একটি গ্রাম আছে, যেখানে কোনও ঘরের নেই দরজা। আর সেখানে চুরিও হয় না শাস্তির ভয়ে। গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, শনি দেবেতার অশেষ কৃপা রয়েছে তাঁদের প্রতি। তাই কেউ চুরি করার সাহস করে না এখানে।